সোমবার (৩০ মার্চ) ভোরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহত রফিকুল ইসলাম সুমন চাষীরহাট ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ পোরকরা গ্রামের খাশের বাড়ির নজির আহমদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাতে চাষীরহাট ইউনিয়নের পোরকরা
গ্রামের এক সিএনজি চালক যাত্রী নিয়ে বোগাই গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। পথে একই ইউনিয়নের কাবিলপুর উত্তরপাড়া এলাকায় পৌঁছে এক পথচারীকে চাপা দিয়ে সিএনজিটি দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে রাতে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ফেরার পথে কাবিলপুর উত্তরপাড়ার লোকজন তাকে আটক করে রাখে।
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ পোরকরা গ্রাম থেকে কয়েকজন সিএনজি চালকসহ একদল যুবক কাবিলপুর উত্তর পাড়ায় গেলে স্থানীদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এবং আটক ওই চালককে নিয়ে আসে তারা।
এ ঘটনার জের ধরে রোববার মাগরিবের নামাজের পরপর দক্ষিণ পোরকার গ্রাম থেকে রফিকুল ইসলাম সুমনসহ একদল যুবক আবারও কাবিলপুর উত্তরপাড়া গিয়ে স্থানীয়দের ওপর হামলা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে গেলেও সুমনকে আটক করে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মসজিদের পাশের সড়কের পাশে অচেতন অবস্থায় সুমনকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা নেওয়ার পথে সোমবার ভোরে তিনি মারা যান।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সামাদ বাংলানিউজকে জানান, সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রোববার রাতে ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় সিএনজি চালক সুমনকে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
এনটি