রোববার (২৯ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ পলাশিকুড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তে মৃত্যুর গুজবে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে জনমনে।
আব্দুল আওয়াল ওরফে আওয়াল পাগলা (৫৮) দক্ষিণ পলাশিকুড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ১০-১২ বছর ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। তিনি বাগেরহাট জেলার রামপাল খয়লারহাট এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন স্থানে একটি পাইলিং কনস্ট্রাকশনে শ্রমিকের কাজ করছিলেন।
জানা যায়, করোনা ভাইরাসের বিস্তাররোধে সারাদেশে অঘোষিত লকডাউন চলায় তার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তিনি এবং সঙ্গীয় অন্য শ্রমিকরা গত বুধবার (২৬ মার্চ) সেখান থেকে রওয়ানা হয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে নিজ বাড়ি পলাশিকুড়ায় ফেরেন। এরইমধ্যে রোববার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় এবং তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃতের ভাতিজা জাকির হোসেন (৩২) বাংলানিউজকে জানান, আমার চাচা দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন। তার শরীরে কোনো জ্বর, গলাব্যথা বা পাতলা পায়খানা এমন কোনো লক্ষণ ছিলো না। রোববার রাতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়ে তিনি মারা যান।
তার সঙ্গে কাজ করা অন্য শ্রমিক একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৫০) জানান, করোনা ভাইরাসের কোনো লক্ষণ তার শরীরে ছিল না। আমাদের সঙ্গে কাজ করতেন আওয়াল। আমরা সবাই সুস্থ অবস্থায় বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরেছি। তিনি মূলত আগে থেকেই শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে খবর শুনেছি। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে আমরা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলে তাদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের ব্যবস্থাপনায় কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করেছি। স্থানীয়দের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কী না তা নিশ্চিত হতে নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে আইইসিডিআরে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
এনটি