শনিবার (২৮ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ‘স্নোটেক্স গ্রুপ’ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সংকটময় এই পরিস্থিতিতে ৫০ হাজার পিপিই তৈরি করতে যাচ্ছে স্নোটেক্স।
এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ১৭ হাজার পিপিই বিজিএমইএ, এম এন্ড এস এবং বুয়েটের সহায়তায় বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাংবাদিকদের মাঝে।
বিশ্ব তথা দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে ‘স্নোটেক্স’ থেকে সরবরাহকৃত এই পিপিই সম্পূর্ণ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারড। পিপিইগুলো ১০০ ভাগ পলিস্টার টাফেটো এর উপরে পিইউ কোটিং এর ফেব্রিক দিয়ে আপাতত জরুরীভাবে প্রস্তুত করছে ‘স্নোটেক্স’। পিপিইটি ১০০ ভাগ বাতাস এবং তরল প্রতিরোধ করে।
এছাড়াও পিপিইটি তৈরিতে কাপড়ের টেস্টিং পেরিমিটার ৩০ সেকেন্ড ৩ পিএসআই চাপে, সেলাইয়ের পরে শতভাগ সিমসিলিং টেপ ব্যবহার করা হবে। ফলে যেকোনো ধরনের জীবাণু থেকে সুরক্ষিত রাখবে এই পিপিই। ইতোমধ্যেই বুয়েটের অ্যালামনাই সহ বেশ কিছু হাসপাতাল এই পিপিইকে সমর্থন করেছে।
‘সুখি হও এবং সুখি করো’ প্রত্যয়ে এগিয়ে চলা ‘স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে স্নোটেক্স অ্যাপারেলস। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’ এবং ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার’ এবং ২০১৯ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশের মার্কেটে ‘সারা’ তাদের প্রথম লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড।
স্নোটেক্স আউটারওয়্যার গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে ইউএসজিবিসির লিড গোল্ড সার্টিফিকেটে। প্রতিষ্ঠানটিতে এখন ১১ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
এমআইএইচ/এমএইচএম