ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

৭-১০ দিনের মধ্যে সব বিভাগে করোনা শনাক্ত পরীক্ষা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
৭-১০ দিনের মধ্যে সব বিভাগে করোনা শনাক্ত পরীক্ষা

ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেছেন, আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে সব বিভাগে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) নমুনা শনাক্ত পরীক্ষা করা হবে।

তিনি বলেন, ৬৪ জেলার মধ্যে ৬১ উপজেলায় সবধরনের ল্যাব টেকনিশিয়ানদের ভিডিও কনফারেন্সে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শনিবারও বাকি উপজেলাগুলোতে ট্রেনিং দেওয়া হয়।

শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস মিলনায়তনে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।  এ সময় আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা উপস্থিত ছিলেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, ঢাকার মধ্যে আইইডিসিআর ছাড়াও আইপিএইচ, আইসিডিডিআরবি, ঢাকা শিশু হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, আর্মস ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন স্থাপন করা হবে।

তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে প্রত্যেকটি বিভাগ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে ইতোমধ্যে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রংপুর ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর মেশিন স্থাপনের কাজ চলছে। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্পেশালিস্ট পাঠানো হয়েছে। তারা সেখানে কাজ করছেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে অতিরিক্ত ১৬টি ভেন্টিলেটর মেশিন বসানো হয়েছে। এছাড়া শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউটে আটটি ভেন্টিলেটর মেশিন বসানো হয়েছে।

তিনি বলেন, চিকিৎসক, নার্স, সেবাকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) দেওয়া হয়েছে। পিপিইর কোনো ঘাটতি নেই। আমরা প্রতিনিয়তই সংগ্রহ করছি।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কেউ শনাক্ত হয়নি। এ পর্যন্ত ৪৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে চার জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

তিনি বলেন, যারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তারা আট থেকে সর্বোচ্চ ১৬ দিন পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলেন। তারা মৃদু অসুস্থতায় ভুগছিলেন।  

ফ্লোরা বলেন, সুস্থ হয়ে যারা বাড়ি ফিরেছেন তাদের মধ্যে নয়জন পুরুষ, ছয়জন নারী। এদের মধ্যে সর্বনিম্ন দুই থেকে সর্বোচ্চ ৫৪ বছর বয়সের রোগী ছিলেন।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরের হটলাইনে কল এসেছে তিন হাজার ৪৫০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক হাজার ৬৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪২ জনের। নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
পিএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।