বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) এমন চিত্র দেখা গেছে সিলেটের সবখানে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিন দেশে জরুরিসেবা, পণ্যপরিবহন, নিত্যপণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া প্রায় সবকিছুই বন্ধ রাখা হয়েছে।
বুধবার (২৫ মার্চ), গত মঙ্গলবার থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নেমেছে। ফলে যান ও জনমানব শূন্য হয়ে পড়েছে আধ্যাত্বিক নগরী সিলেট। এছাড়া রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোও এই ১০ দিন তাদের সেবা বন্ধ রেখেছে। তবে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ওষুধ, জরুরিসেবা, জ্বালানি, সবজিবাহী পরিবহন সীমিত আকারে চলাচল করতে দেখা গেছে। স্থানীয়রা বলছে, বিগত দিনে হরতাল-অবরোধে জ্বালাও পোড়াও হলেও পরিবহন অচল, রাস্তাঘাট মানবশূন্য হওয়ার এমন দৃশ্য কখনো দেখা যায়নি। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে মানুষ যেভাবে নিস্তব্ধ হয়েছে। এ যেনো মানবহীন নগরী।
এদিকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে গতকাল থেকে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন শুরু করেছে। মানুষকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে স্থানীয় প্রশাসন মাইকিং করছে বলেও জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিসবাহ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে নেমে তার ছক তৈরি করেছে। বৃহস্পতিবার থেকে পুরোদমে জেলা প্রশাসনের ১০টি টিম মাঠে কাজ করছে। প্রতিটি টিমের সঙ্গে সেনা সদস্যরা থাকছেন।
তিনি বলেন, মূলত; প্রবাস ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, চায়ের দোকানে, বাজারে কোথাও আড্ডা মারা যাবে না। এসব কাজে যাদের মিলবে, তাদের জেল জরিমানা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
এনইউ/এএটি