ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মানবপাচার প্রতিরোধে আইওএম-কোইকা চুক্তি সই

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২০
মানবপাচার প্রতিরোধে আইওএম-কোইকা চুক্তি সই

ঢাকা: বাংলাদেশে মানবপাচার প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা সৃষ্টিতে কাজ করার লক্ষ্যে ৫ বছর মেয়াদী একটি প্রকল্পে চুক্তি সই করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বাংলাদেশ এবং কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা)।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে আইওএম।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) আইওএম-এর ঢাকা অফিসে এই চুক্তি সই হয়।

ঢাকার আইওএম অফিস থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আইওএম বাংলাদেশ-এর মিশন প্রধান ও বাংলাদেশ জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক নেটওয়ার্ক-এর সমন্বয়ক গিওরগি গিগাওরি এবং কোইকা বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়ংহা ডো চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০১৯ সালে প্রায় ৭ লাখ অভিবাসী দেশের বাইরে গেছেন। যেসব অভিবাসীরা অবৈধ পথে দেশের বাইরে যাচ্ছে তারা পাচারকারীদের হাতে শোষণ ও নিপীড়নের ঝুঁকির মুখে পড়ে। সারাবিশ্বে বর্তমানে আধুনিক দাসত্বের শিকার আনুমানিক চার কোটির বেশি মানুষ এবং জোরপূর্বক শ্রমের সর্বোচ্চ বিস্তার এশিয়া এবং প্রশান্ত অঞ্চলে বিদ্যমান। একদিকে যেমন মানবপাচারের শিকার ও ভুক্তোভোগীদের সংখ্যার প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই, অপরদিকে বাংলাদেশে মানবপাচারর অভিযোগে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ মামলা বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে। ‘কোইকা-আইওএম কম্প্রিহেনসিভ প্রোগ্রাম টু কমব্যাট হিউম্যান ট্রাফিকিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই প্রকল্পটি তিনটি ক্ষেত্রে কাজ করবে, যেমন- পাচারকারীদের বিচার নিশ্চিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচার বিভাগের দক্ষতা বৃদ্ধি, মানবপাচারে ক্ষতিগ্রস্থদের টেকসই পুনরেকত্রীকরণে সহায়তা প্রদান এবং ঢাকা, যশোর, সাতক্ষীরা এবং কক্সবাজারসহ সারাদেশে দশ লাখ মানুষের মাঝে পাচারের ঝুঁকি এবং নিরাপদ অভিবাসনের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি।

আইওএম বাংলাদেশ মিশন প্রধান ও বাংলাদেশ জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক নেটওয়ার্ক-এর সমন্বয়ক গিওরগি গিগাওরি বলেন, মানবপাচার একটি বৈশ্বিক ঘটনা এবং বাংলাদেশের জন্য একটি ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের বিষয়। ২০১২ সালে পাস হওয়া মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আমরা বিচার বিভাগ, আইন প্রণয়নকারী সংস্থা, মন্ত্রণালয় এবং এর বিভাগসমূহের দক্ষতা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করবো। এ ক্ষেত্রে সরকারের অনেক উদ্যোগ রয়েছে। আমরা জানি যে, সরকার এ দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের ওপর সংঘটিত এসব অপরাধসমূহ মোকাবিলায় নিজের সক্ষমতা জোরদার করার লক্ষ্যে সম্মিলিত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। চুক্তি সই হওয়া এই প্রকল্পে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে আমরা আশাবাদী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা,  মার্চ ১৯, ২০২০
টিআর/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।