ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৩ মে ২০২৪, ১৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

এডিস মশাকে সহজভাবে দেখলে হবে না: তাজুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
এডিস মশাকে সহজভাবে দেখলে হবে না: তাজুল

ঢাকা: ডেঙ্গুর মৌসুমে এডিস মশাকে সহজভাবে দেখার দরকার নেই জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, যে যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব কঠিনভাবে পালন করতে হবে যাতে অতীতের মতো কোনো রকম তিক্ত অভিজ্ঞতা মোকাবিলা করতে না হয়।

বুধবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে ‘আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ঢাকা মহানগরী ও এর আশপাশের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মপন্থা নির্ধারণের লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা’ শেষে তিনি একথা বলেন।
 
গতবছর এডিস মশার বিস্তারের পর ডেঙ্গুজ্বরে প্রাণহানির কারণে জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছি।

এবছর এই মৌসুমে ডেঙ্গুজ্বরের সঙ্গে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে ব্যাপক আলোচনায় অনেকটা আড়াল রয়ে গেছে মশা নিধনে কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম। অভিযোগ, বিভিন্ন স্থানে মশার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে।
 
করোনা সংক্রমণের মধ্যে মশা নিধনে কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে- প্রশ্নে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল বলেন, এডিস মশার কারণে গতবছর ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব হয়েছিল। অ্যাপ্রিহেনশন আমাদের মধ্যে আছে যে এবার আগের মতো খারাপ অবস্থার দিকে যায় কিনা, আমরা আমাদের অবস্থান থেকে কাজ করছি। আমরা কয়েক দফা মিটিং করেছি। দুই সিটি করপোরেশন তাদের অবস্থান থেকে পেস্টিসাইট মজুদ রেখেছে। তারা মশা নিধন করার জন্য কাজ করছেন।
 
দুই সিটির করপোরেশনকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, এটাকে সহজভাবে দেখার দরকার নেই। যে যার অবস্থান থেকে যার দায়িত্ব কঠিনভাবে পালন করতে হবে যাতে অতীতের মতো কোনো রকম তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের মোকাবিলা করতে না হয়।
 
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে নির্দেশনা
করোনা ভাইরাস রোধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, করোনার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সরাসরি লিড দিচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা ইতোমধ্যে সমস্ত বাংলাদেশে স্থানীয় সরকারের যতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে- ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন নিজ নিজ অবস্থান থেকে।
 
‘আমরা একটা নির্দেশনা দিয়েছি- বিদেশ থেকে লোকজন এসেছে তারা যেন স্বেচ্ছায় নিজস্ব ঘরে আইসোলেটেড থাকেন এবং মানুষের সঙ্গে না মেশেন। যদি কেউ এই নিয়মটা ভঙ্গ বা অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে খোঁজ-খবর নিয়েছি, অনেকজনের সঙ্গে কথা বলেছি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা কাজ করছে। ’
 
মন্ত্রী বলেন, এটা একটি গ্লোবাল ইস্যু, সরকারের অত্যন্ত কার্যকরী ও সময়োপোযোগী পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে এ পর্যন্ত বিষয়টা অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত আছে। আমাদের হোম গ্রোথ কোনো ইফেকটেড পারসন নেই। যারা এসেছেন তারা ইফেকটেড হয়ে এসেছেন। সরকার এ ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সবাই এ ব্যাপারে সচেতন আছি।
 
তিক্ত অভিজ্ঞতা হবে না
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ড্রেনেজ সিস্টেমের জন্য সিটি করপোরেশন নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরিষ্কার-পরিচরছন্নতার কাজ করেছে বলে জানিয়েছে। বাকিগুলো মে মাসের মধ্যে শেষ করবে।

‘আমরা আশা করি জলাবদ্ধতা অতীতের যে রকম দুঃখজনক রেকর্ড আছে অথবা তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে, সে অভিজ্ঞতা আমরা এবার আর পুনরাবৃত্তি হবে না। ’ 
 
তিনি বলেন, ঢাকার মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে, ঢাকা যেন বসবাস উপযোগী নগরী হয় সেজন্য সব এজেন্ডায় আমরা কথা বলেছি এবং কার্যকর হবে।
 
খালগুলো আগের অবস্থানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, যদি কোথাও কেউ অবৈধভাবে দখল করে থাকে এগুলো চিহ্নিত করে আমরা মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাস্তবায়নের আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবো।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।