বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ সহযোগিতা চান।
তিনি বলেন, পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারই দুদকের সর্বোচ্চ আইনি অগ্রাধিকার।
দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক অভিযোগ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ব্যক্তির রাজনৈতিক বা সামাজিক পরিচয়কে ন্যুনতম গুরুত্ব দেয় না। অভিযোগের বস্তুনিষ্ঠতা ও ব্যাপকতাকেই গুরুত্ব দেয়। দুদকের কাছে ব্যক্তির পরিচয় কোনো গুরুত্ব বহন করে না। দুদক স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তার আইনি দায়িত্ব পালন করে। দুদক বস্তনিষ্ঠ সমালোচনাকে সর্বদাই সাধুবাদ জানায়।
তিনি বলেন, সম্পদপাচারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা অত্যন্ত জটিল বিষয়। বিভিন্ন দেশের নিজ নিজ আইনের কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব তথ্য পাওয়া যায় না। এমএলএআর করা সত্ত্বেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
দুদক চেয়ারম্যান ব্রিটেন ও হংকংয়ে কিছু হিসাব জব্দের মাধ্যমে যেসব অর্থ জব্দ করা হয়েছে তার পরিসংখ্যান জানিয়ে বলেন, এ জাতীয় কর্ম সম্পাদনে আমাদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এ সময় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন দুদক চেয়ারম্যানের এ অভিপ্রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের পক্ষে করণীয় সব সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুদকের মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ, প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী প্রমুখ।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
ডিএন/আরআইএস/
