ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মুজিববর্ষে অতি উৎসাহি না হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
মুজিববর্ষে অতি উৎসাহি না হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর মুজিব বর্ষ উদযাপনে অতি উৎসাহি না হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: মুজিববর্ষ উদযাপন নিয়ে অতি উৎসাহি হয়ে বাড়াবাড়ি কিছু না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে মুজিববর্ষে গৃহহীনদের গৃহ দেওয়ার বিষয়টি প্রধান্য দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশ দিয়েছেন। জাতীয় সংসদভবনে সরকারি দলের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপনে এমন কিছু করা যাবে না সেটা বাড়াবাড়ি হয়। ৭৫'এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কি ধরণের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেটা আমাদের মনে রাখতে হবে। অতি উৎসাহি হয়ে কিছু করার দরকার নেই। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সেইসব কর্মসূচি নিতে হবে যেসব কর্মসূচির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সম্মানিত হন।

এ সসয় তিনি টিআর এর টাকায় বঙ্গবন্ধুর কোনো মোড়াল না করা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নীতিমালা অনুযায়ি মোড়াল তৈরি করার কথা বলেন। এক্ষেত্রে ট্রাস্টের অনুমোদন ছাড়া যত্রযত্র কোনো মোড়াল তৈরি করা যাবে না বলেও জানান তিনি।

সূত্র আরও জানায়, সভায় প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষে গৃহহীনদের ঘর-বাড়ি করে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে এ ব্যাপারে সংসদ সদস্যদের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, মুজিববর্ষে যেন কেউ গৃহহীন না থাকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। যাদের ঘর-বাড়ি নেই তাদের ঘর-বাড়ি তৈরি করে দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি সুস্থ থাকলে আসবেন। এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ভুটানের রাজাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তারা আসবেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হবে। এই ডাকটিকিট যাতে বিশ্বের প্রতিটি দেশের সংসদের স্পিকারদের কাছে পৌঁছানো যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন হবে বলেও জানা গেছে। এই অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা বক্তব্য দেবেন তাদের আগে থেকে স্পিকারকে অবহিত করা এবং প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১৯ মার্চ সংসদ ভবন চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে শিশু মেলা। সেখানে সব সংসদ সদস্য যেন উপস্থিত থাকেন সে বিষয়েও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।

সভায় প্রধানমন্ত্রী সংসদের অধিবেশনে সদস্যদের উপস্থিতির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এ সময় তিনি সংসদ সদস্যদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সংসদ অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের নিয়মিত আসতে হবে। আমিতো নিয়মিত উপস্থিত থাকি। সংসদ চলাকালে মন্ত্রীদের বাইরের কর্মসূচি যত পরিহার করা যায়, করতে হবে। আমার পেছনের এবং আশপাশে যারা বসেন তারা যদি সংসদে নিয়মিত উপস্থিত থাকতে না পারেন তাহলে তাদের আসনগুলো খালি দেখা যায়। তাতে বাইরে মেসেজ যায় সংসদ সদস্যরা সংসদের প্রতি ততটা আগ্রহী নন।

সংসদ সদস্যরা যদি নিয়মিত আসতে না পারেন তাহলে তাদের আসনগুলো দূরবর্তী কোনো জায়গায় দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করার জন্যও চিফ হুইপকে পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
এসকে/এইচএমএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।