ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

শিগগিরই সমন্বিত শিক্ষা আইন আসছে: শিক্ষামন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
শিগগিরই সমন্বিত শিক্ষা আইন আসছে: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা: আগামী বছর থেকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পাশাপাশি দ্রুতই সমন্বিত শিক্ষা আইন আসছে বলেও জানান তিনি।  

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার দাবি দীর্ঘ দিনের। বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীরা এবং যারা আর্থিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে আছেন তাদের সারা দেশে ঘুরে ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া খুবই কষ্টকর। এজন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় তারা। সেটি যেন না হয় সেজন্য সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে সেটি হচ্ছে। আগামী বছর থেকে আশা করছি অন্যান্য সব ক্লাস্টারে অর্থাৎ সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের ক্লাস্টারগুলোতেও সমন্বিতভাবে ভর্তি পরীক্ষার গ্রহণ করতে পারব।

তিনি বলেন, সমন্বিত শিক্ষা আইন দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল সেটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদের নিয়ে যেতে পারব।

আমাদের উচ্চ শিক্ষার অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল যেটি গঠন করা হয়েছে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স কারিুক্যুলাম থেকে শুরু করে সব সাবজেক্টের মান যেন সঠিক রাখা যায়। ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফের্ম ওয়ার্ক সেটিও চূড়ান্ত করণের কাজ চলছি। আমরা প্রণয়ন করেছি স্ট্যাটেজিক প্ল্যান ফর হাইয়ার এডুকেশন ২০১৮-২০৩০। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের যে ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা উচিত তারও একটি নির্দেশিকা প্রণয়ন করছি।

কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা গবেষণাগার করব। উদ্ভাবনী ল্যাব করব। অর্থাৎ একাডেমি এবং শিল্পের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিল্প আর সমন্বয়ের মাধ্যমে কর্মজগতের চাহিদা অনুযায়ী কোর্স কারিক্যুলাম কাজ করছি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিও ভুক্তির যে নীতিমালা হয়েছিল সেই অনুযায়ী এই প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। এখন যাচাই-বাছাই চলছে। এখানে কারো হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ ছিল না। প্রতিবছরই এ প্রক্রিয়ায় এমপিও ভুক্তি করব। যারা আবেদন করেছিলেন সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে সেখান থেকে এমপিও ভুক্তির তালিকা করা হয়েছে। এখন যাচাই-বাছাইয়ে যদি কারো ভুল তথ্য ধরা পড়ে তাহলে তালিকা থেকে সেগুলো বাদ পড়বে। অবশ্যই বাদ দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমি বুঝি না কেন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করা হচ্ছে। একজন দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তাকে সরকার কিভাবে মুক্তি দেবে? তার সাজা হয়েছে আদালতে সরকারের কাছে আবেদনের তো কোনো বিষয় না। আদলত দণ্ড দিয়েছে আদালত চাইলে মুক্তি দিতে পারে। আর তারা যদি দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করে সেটা রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার।  

বাংলাদেশ সময়: ০২০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
এসকে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।