ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

আগামী বছর কানাডা থেকে আসছে ৫ উড়োজাহাজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
আগামী বছর কানাডা থেকে আসছে ৫ উড়োজাহাজ

ঢাকা: ২০২১ সালের মধ্যে কানাডা থেকে পাঁচটি প্লেন আসবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

তিনি বলেন, কাডানার রাষ্ট্রদূত আমাদের সঙ্গে দেখা করে আগামী বছরের জুনের মধ্যে তিনটি ও পরে আরো দু’টি প্লেন দিতে চেয়েছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পর্যটনের প্রসারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ট্রাভেল ম্যাগাজিন ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান ও পর্যটনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

এসময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক উপস্থিত ছিলেন।

মাহবুব আলী বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। দেশের পর্যটন আকর্ষণগুলো বিশ্বের সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরার এখনই উপযুক্ত সময়। পর্যটনে আমাদের সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এটা সবাই জানে। কিন্তু ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। ফলে পর্যটনখাতে একটি প্রভাব পড়েছে। আমরা প্লেন নিয়ে কাজ করেছি, এর সফলতার ইঙ্গিতও পেয়েছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্রসৈকত, ম্যানগ্রোভ বন, বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকা, ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা আহসান মঞ্জিল, লালবাগের কেল্লা, সোনারগাঁ, পানাম নগর প্রভৃতি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। আমরা এই জিনিসগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারিনি। এজন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছি। তারা পর্যটন নিয়ে মহাপরিকল্পনা করবে। পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলমান। পর্যটন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমন্বিত ও পরিকল্পিত পর্যটন উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ পর্যটনের নতুন যুগে প্রবেশ করবে।

মাহবুব আলী বলেন, প্রতি সপ্তাহে উন্নত দেশের মতো ডাবল ডেকার পর্যটন বাসের মাধ্যমে একদিনের মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশের পর্যটন আকর্ষণগুলো ঘুরে দেখার ব্যবস্থা করবো। অচিরেই এরকম চারটি বাসের মাধ্যমে ঢাকা ও এর আশপাশের পর্যটন গন্তব্যে বিশেষ ট্যুর পরিচালনা করা হবে।

রাডার সিস্টেম উন্নত করার কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাডার সিস্টেম আরো উন্নত করার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছি। আমরা জি টু জির মাধ্যমে থেলাস থেকে রাডার নিয়েছি। কেবিনেট ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক মানের রাডার হয়ে গেলে সেন্টমার্টিনসহ সুন্দরবনের কিছু অংশ এখন রাডারের আওতার বাইরে রয়েছে সেগুলোও আওতাভুক্ত হবে। এটা নিয়ে কাজ হচ্ছে।

কক্সবাজার কবে নাগাদ আন্তর্জাতিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজার পর্যটক শহর তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানের করা হচ্ছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে ১২ হাজার ফুটে উন্নত করা হচ্ছে। সেখানে হোটেল-মোটেল আন্তর্জাতিকমানের রয়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য যে সব সুযোগ-সুবিধা থাকা প্রয়োজন আমরা অব্যাহত রাখবো।

সচিব বলেন, আমরা এই মুহূর্তে মুজিববর্ষ উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের কাজ শুরু করা হচ্ছে যাতে দেশি-বিদেশি প্রতিটি যাত্রী বাংলাদেশ পা রাখা মাত্র এটি অনুধাবন করতে পারে এই দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।  

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আতিকুল হক এবং পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাসসহ অন্য কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।