ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান নিয়েই প্রশ্ন আছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২০
‘দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান নিয়েই প্রশ্ন আছে’

ঢাকা: মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে দক্ষতা বাড়ানো সংক্রান্ত অনেক প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু এগুলোর বেশিরভাগেরই কারযকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে ইভেন্ট ব্যাংকুয়েট হলে দেশের সব স্তরের শ্রমশক্তি নিয়ে আয়োজিত জাতীয় দক্ষতা প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কতৃপক্ষের উদ্যাগে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

 
 
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে দক্ষতা বাড়াতে অনেক প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু এর বেশিরভাগেরই কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। দেশের মানুষ নিয়ে আমরা আশাবাদী। সঠিক প্রশিক্ষণ দিলে তারা সব কিছু পারবেন। আমাদের শ্রমিকদের অনেকেই খুব দক্ষ। আমাদের শতভাগ মানুষকেই যথোপযুক্ত দক্ষতার আওতায় আনতে হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নে অনেকগগুলো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, উন্নয়ন টেকসই করতে হলে বাংলাদেশকে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। স্বল্প মজুরি আর কম দক্ষতাপূর্ণ কর্মসংস্থান বাজার দিয়ে এই প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব না। দীর্ঘ মেয়াদে উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে বাংলাদেশকে শিক্ষা খাতে, বিশেষত কারিগরী শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে। দক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের ৩৫ শতাংশ যুবকের দক্ষতা বাড়াতে সবোচ্চ উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। একই সঙ্গে সেবা ও উৎপাদনশীল খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে কর্মীদের হাতে কলমে শেখাতে হবে। দেশের যুবকদের মধ্যে দক্ষতা বাড়াতেই জাতীয় দক্ষতা প্রতিযোগিতা শুরু হলো।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনএসডিএ’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

অন্য বক্তারা আরও বলেন, সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের এ দেশে জনসংখ্যার বিশাল অংশ যুবক হলেও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী দক্ষতা অর্জনে তারা এখনও পিছিয়ে। দেশের প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থা, কারিগরি শিক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকা, যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও একক কোনো সংস্থা না থাকায় গুণগত প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে কর্মসংস্থানে প্রতিনিয়ত পিছিয়ে পড়ছে তারা। মান অনুযায়ী কাজ না থাকায় বেতনও সন্তোষজনক হচ্ছে না। এ অবস্থায়, সরকারি-বেসরকারি সব খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০১০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০ 
এমআইএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।