ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

দুই ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০
দুই ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

ফেনী: ফেনীর সোনাগাজীতে সোনালী ব্যাংক শাখায় ক্যাশের দায়িত্বে থাকা দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত এ দুই কর্মকর্তা হলেন- বরুণ কুমার ও মনিরুল ইসলাম। 

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ ব্যাপারে বাদী হয়ে রৌশন আরা বেগম নামের এক গ্রাহক দুদক চেয়ারম্যান, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানানো হয়, রৌশন আরা বেগম বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংক সোনাগাজী শাখার একজন নিয়মিত গ্রাহক।

তিনি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিবার কল্যাণ সহকারি পদে থাকা অবস্থায় ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি মাসিক পেনশন, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা বাবদ উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে ৫৮ হাজার ৮৩৬ টাকার অ্যাডভাইসে গ্রহণ করেন। একই অ্যাডভাইসে আরও ২ গ্রাহক নমিতা রানী রায় ও লক্ষী রানী বসাকেরসহ মোট ১ লাখ ৮০ হাজার ৯২৪ টাকার হিসেব ছিল। ওই দিন দুপুর আড়াইটার দিকে ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে যাবতীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে সোনালী ব্যাংক সোনাগাজী শাখার ক্যাশ শাখার অফিসার বরুণ কুমারের কাছে কাগজপত্র জমা দেন রৌশন আরা। সে সময় বরুণ কুমার টাকা দিতে দেরি হবে জানিয়ে রৌশন আরাকে অপেক্ষা করতে বলেন। এরই মধ্যে ওই নারী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বরুণ কুমারকে নিজের সোনালী ব্যাংক হিসাব নম্বর- ৪০১৭১০০১৪১০৭৫-তে টাকা জমা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বাসায় চলে যান।  

এ ব্যাপারে নিঃসংশয় থাকায় পরবর্তীতে তিনি আর কোনো খোঁজ নেননি। এরই মাঝে গত ২২ জানুয়ারি ব্যাংকে গিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গেলে রৌশন আরা জানতে পারেন, তার অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা জমা হয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি সোনাগাজী শাখার ব্যবস্থাপক ফরহাদ উদ্দিনকে অবহিত করেন রৌশন আরা। সে সময় তিনি বিষয়টির সমধান করবেন বলে আশ্বাস দেন। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) ছেলে শাহ আজিজুর রহমানকে নিয়ে আবারও ব্যাংকে যান রৌশন আরা। এদিন ওই শাখার ব্যবস্থাপক ফরহাদ উদ্দিনকে বিষয়টি সমাধান করতে পারবেন না বলে জানান।  

রৌশন আরার দাবি ব্যাংকের ক্যাশ শাখার অফিসার বরুণ কুমার ও মনিরুল ইসলাম যোগসাজশ করে  তার ৫৮ হাজার ৮৩৬ টাকা আত্মসাত করেছেন।

এদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বরুণ কুমার ও মনিরুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ফরহাদ উদ্দিন জানান, আমি যোগদানের আগে এ ঘটনাটি ঘটে। তারপরও আমি বিষয়টি জানার পর ওই দুই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা বলেছেন যে, টাকা আত্মসাত করেননি 

বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০ 
এসএইচডি/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।