ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জামালপুরে সার্জেন্টকে মারধরের অভিযোগে ১১ জনের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
জামালপুরে সার্জেন্টকে মারধরের অভিযোগে ১১ জনের নামে মামলা

জামালপুর: জামালপুর সদর ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মারধরের অভিযোগে জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহাসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান বাংলানিউজকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ও রাতে দু’দফায় সংঘটিত এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ট্রাফিক সার্জেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

ট্রাফিক সার্জেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জামালপুর শহরের গেইটপাড়ে ট্রাফিক বক্সের সামনে নম্বর ও হেলমেটবিহীন একটি মোটরসাইকেলের আরোহী মো. মনিরুজ্জামান সাজন, কামরুজ্জামান কামাল ও মো. শাকিলকে থামার জন্য সংকেত দেন। এরপর তাদের ট্রাফিক বক্সে নিয়ে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা ট্রাফিক সার্জেন্টের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে ওই তিন যুবক তাদের ছাড়ানোর জন্য বিভিন্ন জনের কাছে ফোন করেন। রাত সোয়া ১০টার দিকে জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা আরও কয়েকজন দলীয় নেতাকর্মীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক তিন যুবককে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করেন।

ট্রাফিক সার্জেন্ট তাদের ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে মারধর করে তার (সার্জেন্ট) কাছ থেকে মোটরসাইকেলের চাবি ও পুলিশের প্রসিকিউশন বই কেড়ে নেয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে কর্তব্যরত শহর উপ-পরিদর্শক (টিএসআই) আবুল কালাম ও জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ সদস্য শাহা আলম ও মো. যোবায়ের ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এসময় তারও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট তার বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে সদর থানায় খবর দিলে একদল পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী ও যুবলীগকর্মী মো. মনিরুজ্জামান সাজনকে আটক করলেও জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা ও অন্যান্য নেতাকর্মীরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি রাতেই ট্রাফিক সার্জেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়া এবং তাকেসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে মারধর করে লাঞ্ছিত ও আহত করার অভিযোগে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় ঘটনার সময় আটক মোটরসাইকেল আরোহী ও যুবলীগকর্মী মো. মনিরুজ্জামান সাজনকে প্রধান আসামি করে জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহাসহ ১১ জন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর নামে এবং অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে মামলার অন্যান্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

ওসি আরও বলেন, মামলার প্রধান আসামি মনিরুজ্জামান সাজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।