ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বড়দিন-থার্টিফার্স্টে সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই: মনিরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
বড়দিন-থার্টিফার্স্টে সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই: মনিরুল বক্তব্য রাখছেন সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট উদযাপন ঘিরে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলা বা নাশকতার হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্মিত কার্যালয় ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন এবং ক্র্যাব বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০১৯ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে সারাবছরই বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইভেন্ট লেগে থাকে।

সেসব ইভেন্ট ঘিরে নিরাপত্তাজনিত নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা থাকে এবং সে অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি থাকে। সোমবার সারাদেশে নির্বিঘ্নভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।

চলতি মাসেই বড়দিন এবং থার্টিফার্স্টের মতো দুইটি বড় ইভেন্ট ঘিরে আমরা সম্ভাব্য সব দিক মাথায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছি। যাতে সবাই উৎসবমুখর আনন্দে অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারে। সেজন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আমরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট করছি। আমাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বড়দিন এবং থার্টিফার্স্টে সুনির্দিষ্ট কোনো নাশকতা বা সন্ত্রাসী হামলার হুমকি নেই।

তিনি বলেন, হলি আর্টিজানে হামলার পর দেশে একটি কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিদেশিদের নিহতের কারণে অনেক বিনিয়োগকারীরা হাত গুটিয়ে নিয়েছিল, মেট্রোরেলের কাজও বন্ধ ছিল। তবে আমরা সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করেছি।

ইন্টেলিজেন্স তথ্যের ভিত্তিতে একের পর অপারেশন করেছি। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও, জঙ্গিবাদ যেহেতু একটা মতবাদ তাই পুরোপুরিভাবে তাদের নিশ্চিহ্ন বা নির্মূলের বিষয়টি বলা যাবে না।

নিউজিল্যান্ড এবং শ্রিলঙ্কায় জঙ্গি হামলার পর আমাদের দেশে জঙ্গিরা পাঁচটি ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এ ঘটনা উদঘাটন করে তাদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে পেরেছি। জঙ্গিরা থেমে নেই, তারা বিভিন্নভাবে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক প্রভাব কিংবা তাদের মতাদর্শের কারণেই হোক তারা বার বার আঘাত হানার চেষ্টা করবে। যেকোনো আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক প্রভাবে জঙ্গিরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। এসব ঘটনা ঝিমিয়ে পড়া জঙ্গিদের উৎসাহিত করতে পারে। আঞ্চলিক বা দেশের কোনো অংশের উসকানিতে যেন জঙ্গিরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেজন্য আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

উগ্রবাদ প্রতিরোধে প্রতিটি জেলায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে ছয়টি করে উগ্রবাদবিরোধী সমাবেশের আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে করে ভবিষ্যতেও তরুণরা উগ্রবাদে উৎসাহিত না হয়। এটা দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যেতে হবে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের যে যেখানে আছে নিজ নিজ অবস্থান থেকে চেষ্টা করলে তাদের নির্মূল করতে পারবো।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ক্যাবের সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার প্রমুখ। এ সময় ক্র্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
পিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।