ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অন্ধকার ময়মনসিংহে আসছে আলো

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
অন্ধকার ময়মনসিংহে আসছে আলো

ঢাকা: নবগঠিত ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে (মসিক) রাতের বেলা নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য এক হাজার ৩০৩টি শেডসহ এনার্জি সেভিং ল্যাম্প ও ৫ হাজার ৩৭০টি শেডসহ এলইডি লাইট স্থাপন করা হবে। এছাড়া নগরী আলোকিত করতে ৩৬৬টি সোলার প্যানেল, ২৭০টি গার্ডেন লাইট, ৬ হাজার ৬৭৩টি ইলেকট্রিক্যাল পোল, ৩ লাখ ৪৩ হাজার ১১৭ মিটার সার্ভিস তার ও ৭৭টি বৈদ্যুতিক মিটার বসানো হবে।

‘ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন সড়কে সড়কবাতি স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪৯ কোটি টাকা।

চলতি সময় থেকে ২০২১ সালের ‍জুন মেয়াদে আলোকিত হবে মসিকের পুরো এলাকা।  
 
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘পুরনো ২১টি ও নতুন ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে মসিক গঠিত। পুরনো ওয়ার্ডগুলো অন্ধকারে ডুবে আছে। এগুলোতে সিটি কর্পোরেশনের কোনো ছোঁয়া নেই। পুরনো ওয়ার্ডের অনেক সড়কবাতি নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলো সংস্কার করে রাতের বেলা নগরীর নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। ’

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) ময়মনসিংহের একটি স্থানীয় সরকার সংস্থা। ১৭৯১ সালে ময়মনসিংহ জেলা সদরের পত্তন হয় এবং ১৮৬৯ সালে শহরের সার্বিক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত হয় পৌরসভা। সে সময় এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম ও উপমহাদেশের দ্বিতীয় পৌরসভা। ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা করা হয়। এটি বাংলাদেশের ১২তম সিটি কর্পোরেশন। এর আয়তন ৯১ দশমিক ৩১৫ বর্গ কিলোমিটার। মসিকের মোট জনসংখ্যা ৮ লাখ।  

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৮ লাখ মানুষ উপকৃত হবেন।
 
নগরীকে ঢেলে সাজাতে প্রকল্পের আওতায় আরো নতুন নতুন উদ্যোগ নেয়া হবে। ৩ ফেইসের ৫৯টি বিদ্যুৎ সংযোগ, ৭৭টি এমসিসিবি (একটি ছাঁচযুক্ত কেস সার্কিট ব্রেকার), ৬০৮ ঘনমিটার পোলের সিসি ওয়ার্ক কেনা হবে। এছাড়া স্ট্রিট লাইট স্থাপন ও প্রতিস্থাপনের জন্য একটি বীম লিফটার এবং ইলেকট্রিক পুল পরিবহন ও ইরেকশনের জন্য একটি ক্যাটারপিলার স্থাপন করা হবে।

মসিকের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন নগর উন্নয়ন অধিদফতর তৈরি করছে মাস্টারপ্ল্যান। বিলুপ্ত ময়মনসিংহ পৌরসভার জন্য এর আগে তৈরি করা মাস্টারপ্ল্যানকে বেইজ ধরে এটিকে আরও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে নতুন সম্প্রসারিত ১২টি ওয়ার্ডকে এর আওতায় আনা হয়েছে। মাস্টারপ্ল্যান তৈরিতে ময়মনসিংহ সিটির জরিপ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন।
 
নয়া এই মাস্টারপ্ল্যানে নগরীর ব্যস্ততম কেন্দ্র বিন্দু থেকে রেললাইন সরিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড অথবা ওভারহেড রেললাইন স্থাপন, একাধিক ফ্লাইওভার, ওভারব্রিজ ও চারলেন সড়ক নির্মাণ, ময়লা আবর্জনার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থেকে নিজস্ব চাহিদার বিদ্যুৎ জেনারেশন, নগরবাসীর বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন, নগরীর প্রতিটি সড়কে বাতির ব্যবস্থাকরণসহ জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সড়ক যোগাযোগ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পানি নিষ্কাশনে আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপ লাইন স্থাপন, খাল খনন, চিড়িয়াখানাসহ শিশু পার্ক নির্মাণ, পাটগুদাম মোড় থেকে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ও ট্রাক টার্মিনাল অন্যত্র স্থানান্তর এবং ২০তলা আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন ময়মনসিংহ নগর ভবন নির্মাণ কাজ রাখা হয়েছে। এসবের বাইরে থাকছে নগরীর বিউটিফিকেশনসহ নগরবাসীর বিনোদনে পরিবেশবান্ধব ছায়াশীতল পরিবেশের নানা উন্নয়ন কাজ।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯ 
এমআইএস/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad