ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিজয়ের মাসে দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর ২৭০০ মিটার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
বিজয়ের মাসে দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর ২৭০০ মিটার

মুন্সীগঞ্জ: বিজয়ের মাসে পদ্মাসেতুর ১৮তম স্প্যান '৩-ই' সেতুর ১৭ ও ১৮ নম্বর পিলারের উপর বসিয়ে দৃশ্যমান হলো ২ হাজার ৭০০ মিটার অবকাঠামো। ৬.১৫ কিলোমিটার পদ্মাসেতুর দৃশ্যমানের বাকি রয়েছে এখন ৩.৪৫ কিলোমিটার। ট্রেন ও গাড়িতে চড়ে পদ্মাপাড়ি বাস্তবে রূপ নেবে আর ২৩টি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৬ মিনিটের দিকে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মাসেতুর ১৭ ও ১৮ নম্বর পিলারের উপর স্থায়ীভাবে বসানো হয় ১৮তম ৩-ই স্প্যানটিকে। পদ্মাসেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৯টায় দিকে মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যে ও ৩ হাজার ১৪০ টন স্প্যানটিকে বহন করে যাত্রা শুরু করে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার 'তিয়ান-ই' ভাসমান ক্রেন। সকাল ১০টার দিকে নির্ধারিত পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে আসার পর নোঙর করে স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি। এরপর ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে তোলা হয় পিলারের উচ্চতায় এবং রাখা হয় দুই পিলারের বেয়ারিং এর উপর। স্প্যান বসানোর আগে আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়। এ স্প্যানটির পাশেই ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ নম্বর পিলারে বসানো হয়েছে ৫টি স্প্যান।  

চলতি মাসেই আরো দুটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রকৌশলীদের। আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকায় স্প্যান বসাতে কোনো বেগ পেতে হয়নি সংশ্লিষ্টদের।  

জানা যায়, পদ্মাসেতুতে মোট ৪২টি পিলারের মধ্যে বর্তমানে কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৩৫টির। সেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ৪১০টি স্ল্যাব বসানো হয়েছে। ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১২৫টি বসানো শেষ হয়েছে। পদ্মাসেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৩টি স্প্যান। এর মধ্যে ১৭টি স্প্যান স্থায়ীভাবে বসে গেছে।  

৬ দশমিক ১৫ দৈর্ঘ্যের দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টীল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।