ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘নুসরাতের নামে সোনাগাজী মাদ্রাসার নামকরণ হতে পারে’ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৯
‘নুসরাতের নামে সোনাগাজী মাদ্রাসার নামকরণ হতে পারে’ 

ঢাকা: নুসরাতের নামে সোনাগাজী মাদ্রাসার নামকরণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, আমাদের বিচারহীনতার সংস্কৃতি পেয়ে বসেছিল। এই সংস্কৃতি থেকে দেশকে বের করে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

প্রায় ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও ৪০ বছর পর মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করেছি। সরকারিদলের হওয়া সত্ত্বেও নুসরাত হত্যা মামলায় অনেকের ফাঁসি হয়েছে। সুতরাং এ রায় একটি মাইলফলক।  

রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (এফডিসি) মিলনায়তনে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার নুসরাতকে উৎসর্গ করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট 'নিপীড়নবিরোধী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিন্যাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মন্ত্রী।  

আইনমন্ত্রী বলেন, শুধু নুসরাত হত্যার রায় দিয়ে সহিংসতা কমানো যাবে না। তবে এ থেকে একটি বিষয় শিক্ষণীয় যে, যতই ক্ষমতাধর হোক না কেন, অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে না। নারীদের উৎসাহিত করবো, কেউ অন্যায় করলে নালিশ দিন। কেউ অন্যায় করলে পার পাবে না। নুসরাত হত্যার মাধ্যমে কিছু অর্জন হয়েছে, যেমন নারী নির্যাতন করলে পার পাবে না।  

আইনমন্ত্রী বলেন, নুসরাত হত্যার রায়ে বিচার বিভাগ স্বাধীন বিচার করে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। এত দ্রুততার সঙ্গে বিচার শেষ হয়েছে। আমরা বিচারপ্রার্থী হিসেবে বিচার বিভাগের কাছে চেয়েছি, তাই বিচার পেয়েছি। এরকম অপরাধ যারা করে তারা কলঙ্ক, সমাজ তাদের শক্ত শাস্তি দেবে। বিচার বিভাগে সরকার হস্তক্ষেপ করে না, সরকার এটা প্রমাণ করেছে।  

নুসরাত হত্যার দিন ১০ এপ্রিলকে নিপীড়নবিরোধী দিবস ও সোনাগাজী ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসাকে নুসরাতের নামে নামকরণের জন্য ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ দাবি তুললে জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দিবস, যেটা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। তাই হয়তো এটি সম্ভব হবে না। তবে নুসরাত হত্যার রায়ের দিন সেই দিবস করা যেতে পারে। তবে মাদ্রাসার নামকরণ নুসরাতের নামে করা যেতে পারে। এ দাবি আমি সরকারের কাছে পৌঁছে দেবো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই সিদ্ধান্ত নেবেন।  

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আমরা কোনো শাস্তিমূলক সমাজ দেখতে চাই না। কিন্তু ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ চাই। রাষ্ট্রকেই সেই দায়িত্ব নিতে হবে যাতে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে নুসরাতের হত্যাকারীদের দ্রুততম সময়ে দৃশ্যমান এই বিচার জনগণের মধ্যে আস্থা বাড়াবে।  

তিনি বলেন, নুসরাত এক বীরপ্রতীক। এক প্রতিবাদী মেয়ে। নুসরাতের মতো আর কোনো ঘটনা আমরা দেখতে চাই না।  

অনুষ্ঠান শেষে বিতর্ক প্রতিযোগিতার যৌথ বিজয়ী ইডেন মহিলা কলেজ ও ঢাকা কলেজের হাতে দেড় লাখ টাকার চেক তুলে দেন আইনমন্ত্রী। প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানার্সআপ হয় ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ার বিতার্কিক টিম।       

বাংলাদেশ: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
টিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।