ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৮ মে ২০২৪, ১৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

আইএসের টুপি এলো কোথা থেকে?

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
আইএসের টুপি এলো কোথা থেকে?

ঢাকা: বহুল আলোচিত গুলশানের হলি আর্টিজান মামলার রায় ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশের মাথায় ইসলামী জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর প্রতীক সম্বলিত টুপি। এত নিরাপত্তার মধ্যেও আসলামসহ দু’জন আসামির কাছে টুপিটি গেলো কীভাবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন, উদ্বেগ খোদ মন্ত্রী, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদেরও।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ঘোষিত রায়ে আট আসামির মধ্যে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। খালাস দেন একজনকে।

রায় ঘোষণার পরপরই আসামিরা এজলাসের মধ্যেই চিৎকার-চেঁচামেচি ও অকথ্য ভাষায় কথা বলতে থাকে।  

আদালত ভবনের পাঁচতলার এজলাস থেকে লিফটে নামার সময় আসামি আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশের মাথায় ইসলামী জঙ্গি সংগঠন আইএস এর প্রতীক সম্বলিত টুপি দেখা যায়। তবে কেউ কেউ বলছেন এই টুপি তিনি এজলাসে থাকতেই পরেছেন। পরে প্রিজনভ্যানের মধ্যে আরেক আসামি রাজীব গান্ধীর মাথায়ও একই টুপি দেখা যায়।

প্রিজনভ্যানে ওঠার পরে আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে এ রায় না মানার কথা বলতে থাকেন আসামিরা। এদের একজন আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ মাথায় আইএস'র কালো পতাকা বেঁধে আল্লাহু আকবর বলে চিৎকার করতে দেখা যায়।  

এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) জেলার মাহবুবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, হলি আর্টিজানের মামলায় আটজন আসামিকে আমরা আদালতে পাঠানোর উদ্দেশে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি। এদের মধ্যে সাতজনের কাছে কিছুই ছিল না, একজনের কাছে নামাজের জন্য সাদা টুপি ছিল। আইএস'র টুপির বিষয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, সেটি আমাদেরও প্রশ্ন টুপিটি এলো কোথা থেকে?

‘আদালতের রায়ের পরও তাদের আমরা রিসিভ করেছি। চেক করে তাদের কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করানো হয়েছে, কিন্তু তখনও এমন টুপি পাওয়া যায়নি। ’

মহানগর দায়রা জজের নিচতলার গারদের দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক হারুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আসামিদের চেক করা হয়, তাদের কাছে ছুরি-চাকু বা বিস্ফোরক জাতীয় কিছু আছে কিনা। তাদের কাছে টুপি থাকলে, কিংবা টুপির মধ্যে কী লেখা আছে এটা বোঝা সম্ভব নয়।

এখন সবার প্রশ্ন, তাহলে টুপিটি কে সরবরাহ করলো আর কীভাবে তারা পেল। এ রহস্য এখনও উদঘাটন হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
এজেডএস/পিএম/কেআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।