ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নিখোঁজ সন্তানকে ফিরে পেতে বৃদ্ধা মায়ের আকুতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
নিখোঁজ সন্তানকে ফিরে পেতে বৃদ্ধা মায়ের আকুতি

ঢাকা: সপ্তাহখানেক আগে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে বাড্ডা যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন ‘মাদরাসাতুল কুরআনুল কারীম’ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক, হাফেজ মাওলানা আতীক উল্লাহ (৪১)। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজন। 

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে নিখোঁজ আতীক উল্লাহর সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। সেখানেই ছেলের খোঁজ চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার বৃদ্ধা মা।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত শুক্রবার (৪ অক্টোরব) সন্ধ্যায় সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে বাড্ডা আদর্শনগর এলাকার একটি লাইব্রেরির উদ্দেশ্যে রওনা হযন আতীক উল্লাহ। এরপর থেকেই তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।  

এ বিষয়ে পরদিন আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (নম্বর- ২৬২) করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তারা নিখোঁজ ওই শিক্ষকের সন্ধান পেতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।  

আতীক উল্লাহর পরিবার জানায়, নিখোঁজের দিন তার পরনে সাদা পাঞ্জাবি, সাদা লুঙ্গি ও সাদা টুপি ছিল। তার গায়ের রং ফর্সা, মুখ গোলাকার ও তাতে লম্বা কালো দাড়ি আছে। আতীক উল্লাহর উচ্চতা আনুমানিক ৫ ফুট ৪ইঞ্চি। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় তার খোঁজ করা হয়েছে। কিন্তু সন্ধান মেলেনি।  

পরিবার আরও জানায়, তাদের জানা মতে আতীক উল্লাহর সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা নেই এবং তিনি কোনো রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। এ মাওলানা নেহাতই একজন পরহেজগার মানুষ। গত ১২ বছর যাবৎ তিনি রাজধানীর আদাবর শ্যামলীতে ‘মাদরাসাতুল কুরআনিল কারীম’ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছেন। এছাড়া তিনি কোরআন বিষয়ক পড়াশোনা ও বিভিন্ন গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। এ পর্যন্ত এসব নিয়ে তার ৩০টিরও বেশি বই প্রকাশ পেয়েছে।  

সংবাদ সম্মেলনে সব স্তরের মানুষ, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে নিখোঁজ আলেম মাওলানা আতীককে খুঁজে পেতে সাহায্য চায় তার পরিবার।  

আতীক উল্লাহর ছোট ভাই এমদাদ উল্লাহ বলেন, তার এক ছেলে, দুই মেয়ে বাবার পথ চেয়ে বসে আছে। তার শয্যাশায়ী স্ত্রী ও অসুস্থ মা রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
পিএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।