ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ভূমি অফিসে ‘বড়মিয়া’র জ্বালায় অতিষ্ঠ সবাই: ভূমিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
ভূমি অফিসে ‘বড়মিয়া’র জ্বালায় অতিষ্ঠ সবাই: ভূমিমন্ত্রী

ঢাকা: ভূমি অফিসে অনেক ভালো এসি-ল্যান্ড এলেও এখনো তহসিলদারের (বড়মিয়া), জ্বালায় সেবাগ্রহিতারা অতিষ্ঠ বলে মন্তব্য করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে অনেকগুলো অভিযোগ পাচ্ছি। সমস্যা হচ্ছে তহসিলদার (বড় মিয়া)।

এই বড়মিয়া যে কোনদিন ছোটমিয়া হয়ে যায় সেই চিন্তায় আছি। মানুষকে সেবা দেবেন, সেবার মন-মানসিকতা রাখবেন, অহেতুক মানুষকে কষ্ট দেবেন না। এসি-ল্যান্ড, সার্ভেয়ার, কানুনগোদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণলয়ের সম্মেলনকক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এসময় ভূমি সচিব মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারীসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, সরকারের যারা আছে তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা। অর্থাৎ, জনগণের জন্য কাজ করবে। কিন্তু আমরা কি জনগণের জন্য কাজ করছি। জনগণকে কি সেবা দিচ্ছি, না জনগণকে দুর্ভোগ দিচ্ছি। নিজেদের এ বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। তবে রাতারাতি কোনো কিছু করতে আমি বলবো না। কিন্তু একটা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করতে হবে।

‘এটাও ঠিক যারা আপনাদের কাছে আসে, অনেকে একটু অধৈর্য, অনেকে হয়তো একটু ক্ষমতা দেখাতে চান। তাদের ভালো ব্যবহার দিয়ে, সুন্দর সার্ভিস দিয়ে সঠিকভাবে হ্যান্ডেল করে সম্পন্ন করা আপনাদের দায়িত্ব। ’

তিনি বলেন, সমস্যা যেখানে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে সেটা অধিগ্রহণের এলাকা। চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায়। অধিগ্রহণ নিয়ে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে বারবার দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এসব দিকনির্দেশনা পড়ে কাজ সম্পন্ন করা উচিত।  

না বোঝার কিছু থাকলে মন্ত্রণালয়ে ফোন দিয়ে বুঝে নেওয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সামনের দিনগুলো আরও কঠিন হবে। স্বচ্ছতা আসছে, সিস্টেম পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের মন্ত্রণালয় দেখেন, আগে যারা কাজ করেছে তারা মন্ত্রণালয়ে ঢুকলে মন্ত্রণালয় চিনবে না। কাজের ধরন পরিবর্তন হয়েছে। এখন সৎ লোকেরা প্রধান্য পাচ্ছেন। আমাদের সরকার চায় সৎ লোক দিয়ে কাজ করানো। প্রধানমন্ত্রী চান দক্ষ ও সৎ লোক দিয়ে কাজ করাতে। তার জন্য যা যা করা প্রয়োজন সবই করা হচ্ছে এবং করতে থাকবো।

কারও অপকর্ম বা দুর্নীতির দায়-দায়িত্ব নিতে পারবো না জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আপনাদের বলবো ব্যক্তিগত কোনো জিনিস মাথায় রাখবেন না। নিজের কোনো স্বার্থ মাথায় রাখবেন না। ব্যক্তিগত জিনিস থেকে বেরিয়ে আসুন। চেয়ারকে কলুষিত করবে না। আমি ভেরি লাউন্ড অ্যান্ড ক্লিয়ার মেসেজ দিচ্ছি। আমি ভালোভাবে চলি, আমার পুরো দল ভালোভাবে চলবে সেটা দেখতে চাই।

ডিজিটালাইজেশন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা এ পর্যন্ত যে কাজগুলো করেছি, তা পার্ট অব ডিজিটালাইজেশন। কাজগুলো ফেজওয়াইজ হচ্ছে। আমরা এখন পেমেন্ট গেটওয়ে নিয়ে কাজ করছি, নামজারি নিয়ে কাজ করছি। এটাও ডিজিটালাইজেশনের বাইরে নয়। ডিজিটাল সার্ভের পাইলট প্রজেক্টের কাজ গাজীপুরে চলছে বলে জানান মন্ত্রী।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যখন যে ধরনের অভিযোগ পাচ্ছি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা তদন্ত করি। অনেক সময় দেখা যায় যে তথ্যগুলো ব্যক্তিগত রেষারেষির কারণে। কিন্তু কোনো অভিযোগ এলেই আমরা আনহার্ট করি না, মনোযোগ দেই এবং সে অভিযোগের গভীরে যাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।