ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘বুলবুল’র কারণে নদীভাঙন দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
‘বুলবুল’র কারণে নদীভাঙন দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে নদীভাঙন দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

শনিবার (০৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাত হানার পর আমরা বুঝবো ক্ষয়ক্ষতির অবস্থা কোন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে।

পরে আমরা এটা নিয়ে পর্যালোচনা করে যা নির্দেশনা দেওযার প্রয়োজন আমরা দেবো।

তিনি বলেন, শনিবার মধ্যরাতের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করবে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। আমরা গত দু’দিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। বিভিন্ন জোনে আমাদের প্রধান নির্বাহী, নির্বাহী প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দিয়েছি। তাদের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় যেসব নদী ভাঙন হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেসব এলাকার উপজেলা ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ স্থাপন করছি। যাতে তাৎক্ষণিকভাবে কোন নদী ভাঙনের সংবাদ এলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি, সেই ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি। গত দু’দিন ধরে আমাদের কর্মকর্তারা ট্রলারে করে বিভিন্ন এলাকা মনিটরিং করছেন।  

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডেও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। কোথাও সমস্যা হলে কর্মকর্তাদের কন্ট্রোল রুমে ম্যাসেজ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তারা বিভিন্ন জায়গায় যারা আছে তাদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাছ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, রাতে ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রমকালে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সেসময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। যা সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুটের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
জিসিজি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।