ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

দুর্যোগকালীন উদ্ধারে সোনাগাজীতে প্রস্তুত ২ হাজার কর্মী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৯
দুর্যোগকালীন উদ্ধারে সোনাগাজীতে প্রস্তুত ২ হাজার কর্মী দুর্যোগ প্রবণ এলাকা পরিদর্শন করছেন ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।

ফেনী: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ‘‌ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’ মোকাবিলায় ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় দুর্যোগকালীন উদ্ধার তৎপরতাসহ বিভিন্ন কাজের জন্য সিপিপির দেড়হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ দুই হাজার কর্মী প্রস্তুত রয়েছে।

মওজুদ রাখা হয়েছে শুকনো খাবার। অর্ধশত আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পাশাপাশি উপজেলার উপজেলার সব সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার সব কয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও দুযোর্গকালীন আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।

বুলবুলের প্রভাবে সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ বাড়তে শুরু করেছে। শনিবার (০৯ নভেম্বর) সকাল থেকে সোনাগাজী উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি না হলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। সম্ভাব্য দুর্যোগ প্রবণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।

সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত দেব বলেন, ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনাসহ জনগণকে সর্তক করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

উপজেলায় অর্ধশত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রসহ উপজেলার সব কয়টি বিদ্যালয়কে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলায় একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে এবং ১০টি চিকিৎসক দল, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগকালী উদ্ধার তৎপরতাসহ বিভিন্ন কাজের জন্য সিপিপির দেড়হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ দুই হাজার কর্মী প্রস্তুত রয়েছে। মওজুদ রাখা হয়েছে শুকনো খাবার।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি এলাকায় জনগণকে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে সর্তক করে জানমাল ও গবাদিপশুর নিরাপদে সরানোর প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন। উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের দুর্যোগকালীন নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বলেন, সমগ্র জেলায় ৭৬টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রেখেছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় খাবার স্যালাইনসহ প্রাথমিক ওষুধ মজুদ রেখেছেন।

সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মানুষের জন্য ৫ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৬শ মেট্রিক টন গম, চিড়া, মুড়িসহ বিশুদ্ধ পানির মজুদ রাখা হয়েছে।

কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের বাড়ির মালপত্র নিরাপত্তা পর্যাপ্ত পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া রেড ক্রিসেন্ট, স্বেচ্ছাসেবক, সিপিবি, রোভার, আনসার বিডিপির সদস্যরা দুর্যোগ কবলিত এলাকার মানুষের পাশে নিয়োজিত থাকবে । সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় এলাকার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখবে। মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু ও খামারের পশুদেরও নিরাপদ স্থানে নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে উপজেলা প্রশাসনের। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে কৃষি বিভাগ, মৎস বিভাগসহ সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় সব বিভাগ কাজ করবে বলে যোগ করেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান। ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এসএইচডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।