ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দেশের ০.০১ শতাংশ মানুষ সাম্প্রদায়িক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
দেশের ০.০১ শতাংশ মানুষ সাম্প্রদায়িক ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিজয়া সম্মিলন-২০১৯

ঢাকা: দেশে শতকরা ০.০১ শতাংশ মানুষ দেশের সাম্প্রদায়িক এবং তারা চেতনা বিনষ্ট করতে চায় বলে মনে করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশে শতকরা ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ মানুষ অসাম্প্রদায়িক নীতিতে বিশ্বাস করে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, মাত্র ০.০১ শতাংশ মানুষ নানা ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

তাদের মোকাবিলা করতে হবে। যারা ধর্মে বিভক্তির কথা বলেন, উগ্রবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন, তারা কেবল ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীর স্বার্থে বিভক্তি সৃষ্টি করেন।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিজয়া সম্মিলন-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।  

তাজুল ইসলাম বলেন, উন্নয়নের রোল মডেল হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ সারা বিশ্বে ধর্মীয় সম্প্রীতিরও এক নম্বর উদাহরণ হতে পারে। এটা নষ্ট করার জন্য উগ্রবাদীরা সব সময়ই সচেষ্ট থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। এই উগ্রবাদীরা মুসলিম ধর্মেও আছে, অন্য ধর্মেও আছে।  

ব্রিটিশ শাসনামলে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি নিজেদের শাসনের স্বার্থে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ তৈরি করেছিল বলে উল্লেখ করেন এলজিআরডি মন্ত্রী।

পরে তিনি বলেন, ব্রিটিশদের এই নীতি কেন আমরা লালন করবো? কেন অনুসরণ করবো? এটা অবশ্যই পরিহারযোগ্য।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ৭৫’ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর দেশে যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির শুরু হয়েছিল, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সেটা রোধ করেন বলে মন্তব্য করেন তাজুল ইসলাম।

মন্ত্রী বলেন, ধর্ম ভিন্ন হলেও সমঅধিকার ভিত্তিতে দেশের প্রতিটি নাগরিক সব সুবিধা ভোগ করবে, এটা ছিল বঙ্গবন্ধুর নীতি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার ছন্দপতন হয়। পরে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে তা আবার পুনরুদ্ধার করেন। তাই আজ সব ধর্মের উৎসব এত জাঁকজমকপূর্ণ।

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ, সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল,  রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মনন্দ মহারাজ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মন্ডল প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
এমএএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।