ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্থিতিশীল সরকারে বাংলাদেশ উন্নয়নের মডেল: আইনমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
স্থিতিশীল সরকারে বাংলাদেশ উন্নয়নের মডেল: আইনমন্ত্রী

ঢাকা: মরক্কোর প্রাচীন রাজধানী মারাকেশ সফররত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শক্তিশালী নেতৃত্বের পাশাপাশি সুশাসন, স্থিতিশীল সরকার, অব্যাহত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুষ্ঠু সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি এবং সঠিক উন্নয়নের অগ্রাধিকার বাংলাদেশকে এক অনন্য উন্নয়নের মডেল করে তুলেছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মারাকেশে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বিচার সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।  

‘জাস্টিস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট: চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড স্টেকস’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২১ ও ২২ অক্টোবর দু’দিনের এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে অাইনমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ণ ও অসাধারণ সাফল্য অর্জন শুরু করে এবং তথাকথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ থেকে বাংলাদেশ এখন বিস্ময়কর উন্নয়নের দেশে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের অন্য উন্নয়নশীল দেশের জন্যও বাংলাদেশ উন্নয়নের উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  

তিনি বলেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক আউটলুক-২০১৯ বাংলাদেশকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে উল্লেখ করেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক ব্যাংক ‘দ্যা হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি)’ ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ২৬তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।   

আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তর করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ২০২১ সালের লক্ষ্য অর্জন করতে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ অর্জন এবং তা বজায় রাখতে হবে, দারিদ্র্যসীমা ও বেকারত্বের হারকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে, কর্মসংস্থানে কৃষি, শিল্প ও সেবার খাতের অবদানকে যথাক্রমে ৩০ শতাংশ, ২৫ শতাংশ এবং ৪৫ শতাংশে রূপান্তর করতে হবে।

এসব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি বলেন, সেজন্য সরকার বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।  

 
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে কর অবকাশ, নীতিগত প্রণোদনা, মূল সরঞ্জাম আমদানির জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধা, ১০০ ভাগ বিদেশি মালিকানা, ১০০ ভাগ মুনাফা দেশে ফেরত নিয়ে যাওয়ার সুবিধা, মুনাফা বা লভ্যাংশেরর পুনর্বিনিয়োগ, মাল্টিপল ভিসা, বিদেশি কর্মকর্তাদের ওয়ার্ক পারমিট, স্থায়ী বাসিন্দা বা এমনকি নির্দিষ্ট পরিমাণে বিনিয়োগের জন্য নাগরিকত্ব, রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) সুবিধা এবং সহজ ঝামেলা মুক্ত প্রস্থান সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। উল্লিখিত সমস্ত উৎসাহ/প্রণোদনা ছাড়াও বাংলাদেশ এফডিআই (সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ) বা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।  

আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতির দেশ। এটি ১৬০ মিলিয়ন জনসংখ্যার বাজার এবং তাদের ক্রয় ক্ষমতা দিন দিন বাড়ছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলির তুলনায় বাংলাদেশে উৎপাদনের উপকরণগুলোর দাম সস্তা। বাংলাদেশ ইউরোপীয়, কানাডিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান এবং জাপানি বাজারগুলিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার ভোগ করে।

মন্ত্রী বলেন, স্পেকটেটর সূচক ২০১৯ অনুসারে বাংলাদেশ গত ১০ বছরে সর্বাধিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বিগত দশ বছরে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে গড়ে সাত শতাংশ। এটি গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশে পৌঁছেছিল এবং চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এটি ৮ দশমিক ২ শতাংশ হওয়ার লক্ষ্য মাত্রা স্থির করা হয়েছে।  

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, শেখ হাসিনার সরকার এখন ‘ভিশন ২০২১’ অর্জনের কাছাকাছি। তার সরকার ভিশন ২০২১ অর্জনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিশন অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৫২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯ 
এমঅাইএইচ/এবি/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।