ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থী তাহেরকে হত্যা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থী তাহেরকে হত্যা আবু তাহের

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাউথকান্দা আরজি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র আবু তাহের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআই জানিয়েছে, ওই স্কুলের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করার কারণে আসামিরা ক্ষুব্ধ হয়ে খুন করেন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তাহেরকে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক ফরিদ খানকে আদালতে নেওয়া হলে এমন তথ্য জানান তিনি।

এছাড়াও হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের নাম উল্লেখ করেন ফরিদ।

এর আগে গত মে মাসে উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নে তাহের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পিবিআই জানায়, গত ৩০ মে সকালে উপজেলার আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের কুর্ষানগর খিরো নদীর পাড়ে একটি বাঁশ বাগানে তাহেরের অর্ধগলিত মরদেহ পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে। ওইদিনই তাহেরের বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে ত্রিশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করছিল পুলিশ। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলার তদন্তের দায়িত্বভার গ্রহণ করে পিবিআই ময়মনসিংহ শাখা।

পিবিআই ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ফরিদ খান নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেন পিবিআইয়ের সদস্যরা।

ফরিদ খানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ফরিদ ও তার কয়েকজন সহপাঠী মিলে এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করতেন। একদিন ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানিও করেন তারা। এ ঘটনায় নিহত আবু তাহের প্রতিবাদ করে। স্কুলের শিক্ষকদের কাছে তাদের বিরুদ্ধে নালিশও করে।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ফরিদ ও তার বন্ধুরা মিলে তাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত ২৪ মে তারা ডাব খাওয়ানোর কথা বলে ডেকে নেন তাহেরকে। পরে কুর্ষানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খিরো নদীর পাড়ে আটজন মিলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে জঙ্গলে বাঁশ ঝাড়ের নিচে লতা পাতা দিয়ে ঢেকে রাখেন। ছয়দিন পর তার অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।