ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুশি সোনাগাজীর ২৮০ পরিবার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুশি সোনাগাজীর ২৮০ পরিবার

ফেনী: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা সোনাগাজী উপজেলার ২৮০টি অসহায় পরিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ‘যার জমি আছে ঘর নাই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে এসব ঘর পান তারা।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে প্রকল্প নির্মাণে ২৮০টি অসহায় পরিবারের জন্য ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ প্রকল্পে হতদরিদ্র অসহায় পরিবার যার ১ থেকে ১০ শতাংশ জমি আছে, কিন্তু ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণে একটি ঘরের জন্য ভ্যাট ও ট্যাক্স ছাড়া ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

স্বপ্নহারা মানুষের নতুন ঠিকানা মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে ১টি ঘর ১টি টয়লেট পাওয়া যা হতদরিদ্র মানুষের কাছে সোনার হরিণ।

স্থানীয় পৌর মেয়র, চেয়ারম্যান, মেম্বার দিয়ে জরিপ করে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ২৮০টি পরিবারের গৃহ নির্মাণের তালিকা তৈরি করা হয়।  

সোনাগাজীর চর মজলিশপুর ইউনিয়নে ২১টি, বগাদানা ইউনিয়নে ৩১টি, মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নে ৩১টি, মতিগঞ্জ ইউনিয়নে ২৯টি, চর দরবেশ ইউনিয়নে ৩৪টি, চর চান্দিয়া ইউনিয়নে ২৫টি, সোনাগাজী সদর ইউনিয়নে ২৭টি, আমিরাবাদ ইউনিয়নে ৩০টি, নবাবপুর ইউনিয়নে ২৭টি ও সোনাগাজী পৌরসভায় ২৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।  

অসহায় পরিবারগুলো স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ঘর বাঁধার। গৃহ নির্মাণ করা হলে সহায়-সম্বলহীন পরিবারগুলো নতুন করে স্বপ্ন দেখে সংসার করার। ঘর নির্মাণে অনিয়ম ঠেকাতে আশ্রয়ন প্রকল্পের সভাপতি ও সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল পারভেজ সার্বক্ষণিক তদারকি করে প্রকল্পের মেয়াদকাল যথা সময়ে শেষ করেন। এরপর নির্মাণ করা নতুন ঘরগুলো স্ব-স্ব ওই অসহায় পরিবারগুলো উঠতে শুরু করে।

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিটি ঘর দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৫ ফুট, প্রস্থ সাড়ে ১৬ ফুট নির্মাণ করা এসব ঘরের মেঝে পাকা, সামনে খোলা বারান্দা আরসিসি পিলার, উন্নত টিনের বেড়ার ছাউনিতে ঘেরা। এর সঙ্গে একটু দূরে পয়ঃনিস্কাশনের স্যানিটারি ল্যাট্রিন।

সরেজমিনে আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের দৃশ্য দেখতে উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের পালগিরি গ্রামের হতদরিদ্র মৃত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী রিজিয়া খাতুন বলেন, আমি মানুষের ঘরে কাজ করে সংসার চালাই, আমার নিজের ভাঙা এক রুমের একটা ঘর ছিল, বৃষ্টির দিনে এই ঘরে থাকতে খুব কষ্ট হতো। সরকার আমাকে ঘর দেওয়াতে আমি খুব খুশি। আল্লার কাছে শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি।

এদিকে, মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের সমপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী বিবি হাজেরা জানান, কখনো ভাবিনি সরকার আমাদের ঘর বানাইয়া দেবে। এ ঘরটা হওয়াতে খুব উপকার হইছে, থাকা নিয়ে আর চিন্তা করা লাগবে না।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ নোমান বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় উপকরণের (সিমেন্ট, ইট-বালু, রড, কাঠ, টিন) গুণগত শতভাগ মান বজায় রেখে কাজ সম্পন্ন করেছি।

সোহেল পারভেজ বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সার্বিক তদারকিতে সুষ্ঠুভাবে যারা ঘর পাওয়ার উপযুক্ত তাদেরই গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। গরিব-অসহায় মানুষের কল্যাণ, উন্নয়ন ও পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
এসএইচডি/ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ