ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ক্যাসিনোকাণ্ডে ২০ জনের তালিকা দুদকের হাতে!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
ক্যাসিনোকাণ্ডে ২০ জনের তালিকা দুদকের হাতে! ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ক্যাসিনোকাণ্ডে মাঠে নামতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি তালিকা ধরে কাজ শুরু করেছে দুদক। সঠিক অনুসন্ধানের স্বার্থে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে তথ্য বিনিময়ের কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। 

বুধবার (৯ অক্টোবর) র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের সঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তিনি বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান কর্মকর্তা আবু হেনা মোহা. রাজী হাসানের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএফআইইউয়ের প্রধান কর্মকর্তা আবু হেনা মোহা. রাজী হাসানের সঙ্গে নিজ দফতরে ইকবাল মাহমুদ এ বৈঠকে বসেন। দুদকের একাধিক ঊর্ধ্বতন সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, দেশে চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান সম্পর্কিত তথ্য বিনিময় করেছেন দুদক ও বিএফআইইউ প্রধান। এসময় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে পাওয়া বেশ কিছু গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় হয়েছে। সেই সঙ্গে চলমান অভিযানে এক সংস্থা আরেক সংস্থাকে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আগামীতে প্রতিষ্ঠান দু’টির পারস্পরিক তফসিলভুক্ত অপরাধের বিষয়ে সহায়তার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এর আগে, বুধবার র‌্যাব মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠকেও একই বিষয়ে আলোচনা হয়।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ও বিএফআইইউয়ের প্রধান কর্মকর্তা আবু হেনা মোহা. রাজী হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন ধরেননি।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের নেতৃত্বে দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এতে গ্রেফতার হয়েছেন যুবলীগের প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন নেতা। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থও। অভিযান শুরুর পরপরই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। সে দলটিও কাজ শুরু করেছে। দলের অনুসন্ধানে ইতোমধ্যেই গোটা বিশেক নাম এসেছে বলে দুদক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে দুদকের ভূমিকার বিষয়ে গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ক্যাসিনো ব্যবসা দুদক আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধ নয়। তবে, এ ব্যবসার মাধ্যমে যে বা যারা জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন, তাদের বিষয়টি কমিশনের আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় কমিশন এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে।  

তিনি জানান, গণমাধ্যম, দুদকের নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্য ও অন্য সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৫ থেকে ২০ জনের বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান করছে।  

বুধবার (৯ অক্টোবর) ইকবাল মাহমুদ বলেন, অনুসন্ধানের খাতিরে নামগুলো এখন বলা যাচ্ছে না।  
এ তালিকায় কোনো মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য আছেন কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো কিছুই অনুসন্ধান না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
ডিএন/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।