ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনাঞ্চলের উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে: শেখ জুয়েল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৯
খুলনাঞ্চলের উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে: শেখ জুয়েল

খুলনা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর খুলনাঞ্চলের উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ দাবি করেন তিনি।

এসময় সংসদ সদস্য খুলনাঞ্চলের বর্তমান সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান বিতরণের তথ্য তুলে ধরেন।

শেখ জুয়েল বলেন, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর গত ১০ মাসের বেতন-ভাতা মসজিদ-মন্দিরে ভাগ করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন, শামছুর রহমান রোডে ১৫তলা বিশিষ্ট বিভাগীয় কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ (কাজ চলমান), রূপসায় ১০০০ আসন বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টার নির্মাণের অনুমোদন, শেখ রাসেল আইসিটি পার্ক নির্মাণে ৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ, শিশু হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করতে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ, বায়তুল আমান, দ্বীলওয়ালি এবং নিরালা কবরখানা জামে মসজিদে মধুমতি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩ লাখ টাকা অনুদান, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, গীর্জাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে প্রায় ৫৩ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া এবং ৫১ লাখ টাকার সোলার সিস্টেম বাবদ বরাদ্দ, বিভিন্ন সময়ে দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ টাকা বিতরণ, ঈদুল ফিতরের আগে নগরের সদর ও সোনাডাঙ্গা থানার সব ওয়ার্ডে শাড়ি, লুঙ্গি, ঈদবস্ত্র ও নগদ টাকা বিতরণ, পাওয়ার হাউজ মোড় থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত শেরে বাংলা রোডকে চার লেনে উন্নীতকরণ (কাজ চলমান), নিজস্ব তহবিল থেকে ১০টি এতিমখানায় প্রত্যেকটিতে ৩০ হাজার টাকা করে অনুদান, নগরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় নতুন ভবন নির্মাণ, ঊর্ধ্বমুখীকরণসহ পুরাতন ভবন মেরামতের জন্য ব্যাপক আর্থিক বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া খুলনা নগর উন্নয়নে অর্থ আনা হয়েছে। যা দ্বারা খুলনাকে তিলোত্তমা নগরে পরিণত করা যাবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি, মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যুতা পছন্দ করেন না। আমরা সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমান মেয়রের নেতৃত্বে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সব অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নগরবাসীর স্বার্থেই পূজার পরেই রিকশা থেকে মোটর অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবে। যানজট নিরসনে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে লাইসেন্স দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য এস এম কামাল হোসেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানসহ খুলনার বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।