ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডাক্তার-ফার্মাসিস্টদের একযোগে কাজ করার আহ্বান: স্পিকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
ডাক্তার-ফার্মাসিস্টদের একযোগে কাজ করার আহ্বান: স্পিকার বক্তব্য রাখছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

ঢাকা: সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ডাক্তার ও ফার্মাসিস্টদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে ফার্মাসিটিক্যাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। ফার্মাসিটিক্যাল সেক্টরকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনীতির ভিত আরও মজবুত হবে।

সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ডাক্তার ও ফার্মাসিস্টদের একযোগে কাজ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ‘পলিসি ডায়ালগ অন গুড ফার্মাসি প্রাকটিস ইন হসপিটাল ফার্মাসি সেটিংস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।

সোনারগাঁও হোটেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় ফার্মাসি কাউন্সিল অব বাংলদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের মূল দর্শন মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া। সারাদেশে ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে। যার প্রত্যেকটি থেকে ছয় হাজার জনকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৩২ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে তৃণমূলে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, চিকিৎসকদের সাফল্যে বাংলাদেশকে গর্বিত করে। এ সময়ে তিনি দেশের হাসপাতালগুলোতে দক্ষ ফার্মাসিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে ওষুধ নিয়ে বিভ্রান্তি ও ওষুধের ভুল প্রয়োগের হার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে ওষুধশিল্পের বিকাশে এক আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বর্তমানে দেশের চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশে উৎপাদন হচ্ছে এবং বিশ্বের অনেক দেশে ওষুধ রপ্তানী হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব  মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরেটাস ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেসের মহা পরিচালক প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশে আবাসিক প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা, চিটাগাং মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. ইসমাইল খান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ড. খান আবুল কালাম আজাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রো ভিসি প্রফেসর ডা. মো. শহিদুল্লাহ শিকদার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময় ১৮২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad