ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

টেন্ডার মরা গাছের, কর্তন জীবিত গাছ!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
টেন্ডার মরা গাছের, কর্তন জীবিত গাছ! জীবিত গাছ কাটা। ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: টেন্ডার হয়েছে ১৪ মরা গাছ কর্তনের। সরকারি কোষাগারে ইজারা মূল্যও দেখানো হয়েছে ৫৬ হাজার টাকা। কিন্তু ইজারা গ্রহীতারা সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজসে জীবিত গাছের মৌখিক দ্বিতীয় ইজারা দিয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। ফলে মরা গাছের পরিবর্তে কেটে নেওয়া হয়েছে জীবিত ১৪টি গাছ।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের জৈন্তপুর উপজেলায়। মৌখিক দ্বিতীয় ইজারা গ্রহীতা ইউনুছ গংরা নামমাত্র মূল্যে গাছগুলো কেটে নিয়েছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে সিলেটের জৈন্তাপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দপ্তর থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে জনসাধারণ ও ভবনের ক্ষতি হয় এমন অপ্রয়োজনীয় মরা গাছ কর্তনে টেন্ডার হয়। গাছগুলোর অবস্থান উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে।

সূত্র জানায়, মরা গাছগুলো কর্তনে খাতায়পত্রে সরাসরি নিলাম দেখানো হয় ৫৬ হাজার টাকা। অথচ কতিপয় কর্মকর্তারা ইজারা গ্রহীতার সঙ্গে যোগসাজস করে নামে মাত্র মূল্যে জীবিত গাছগুলো কেটে নেওয়ার জন্য সন্ধি করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইজারা গ্রহীতার পক্ষের লোকজন সোমবার উপজেলার প্রবেশদ্বার থেকে ৪টি, উপজেলা চেয়ারম্যান অফিস সংলগ্ন স্থান হতে ৩টি, বিয়াম স্কুল ও সমাজসেদবা অফিসের সামনে থেকে ১টি করে এবং নির্মাণাধীন কৃষি ভবনের কাছ থেকে আরও ৩টি জীবিত গাছ কর্তন করে নেন। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার খোরাক যুগিয়েছে। জীবিত গাছ কাটা।  ছবি: বাংলানিউজনামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের অনেকে বলেন, উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত এলাকার মরা ১৪টি গাছ কর্তনে নিলাম হয়। কিন্তু তা না করে বিশালাকারের সবুজ ১২টি ছায়াবৃক্ষ কাটা হয়েছে। একটি চক্র আঁতাত করে ১৪টি গাছ একই সময়ে দ্বিতীয় নিলামে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌরীন করিমকে একাধিকবার মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

টেন্ডার কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রমেন্দ্র হোম চৌধুরী বলেন, আমি নাম মাত্র কমিটির সদস্য সচিব। যা কিছু হয়েছে সবকিছুই উপজেলা নির্বাহী স্যারের মাধ্যমে হয়েছে, এর বেশি আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, উপজেলা পরিষদ ভবনের ক্ষতি হবে মরে যাওয়া এসব গাছ চিহ্নিত করে উন্মোক্ত টেন্ডারে বিক্রি করা হয়েছে। অসুস্থ থাকায় এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। মরা গাছ রেখে জীবিত গাছ কাটার ঘটনাটি সরেজমিনে এসে দেখেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ