ঢাকা, বুধবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৪ মে ২০২৫, ১৬ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

হারিয়ে যাচ্ছে মিঠা পানির ‘ফলি মাছ’

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:০৪, আগস্ট ২৬, ২০১৯
হারিয়ে যাচ্ছে মিঠা পানির ‘ফলি মাছ’ জলাভূমির বিপন্ন প্রজাতির ‘ফলি মাছ’। ছবি: শ্রীমঙ্গল মৎস্য অফিস

মৌলভীবাজার: আজকাল বাজারে গিয়ে নদী-বিলের মাছ পাওয়া যায় না। যেসব পাওয়া যায় তার প্রায় নব্বইভাগ হলো স্থানীয় কৃত্রিম খামার বা ঘেঁরে চাষ করা। কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত মাছ দিয়েই মিটানো হচ্ছে স্থানীয় মানুষের পুষ্টির চাহিদা।

আমাদের প্রাকৃতিক জলাভূমি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ‘ফলি’মাছটি। স্থানীয় মাছের বাজারগুলোতে আর আগের মতো চোখেই পড়ে না ‘ফলি’ মাছটি।

তবে, মাছপ্রিয় বাঙালির মুখে এর স্বাদ লেগে আছে আজও।  

এক সময় আমাদের প্রাকৃতিক জলাভূমিগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ‘ফলি’ মাছ পাওয়া যেত।  

মাছ ব্যবসায়ীরা মাছশিকারীদের কাছ থেকে কিনে পাড়ায় পাড়ায় বিক্রি করতেন। এছাড়া স্থানীয় মাছের বাজারগুলোতেও থাকতো এ মাছটির প্রতুলতা। কিন্তু কালের বিবর্তনে মাছটি প্রায় হারিয়ে গেছে।  

কিন্তু নানা কারণে আমাদের প্রাকৃতিক জলাভূমিগুলো দূষণে জর্জরিত হয়ে অন্যান্য সুস্বাদু মাছের মতো এটিও প্রায় বিপন্ন হয়ে গেছে। এর প্রজনন রক্ষা না করলে প্রাকৃতিক জলাভূমিগুলো থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে মাছটি।  

সিলেট বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষ ‘ফলি’ মাছটিকে ‘কাংলা মাছ’ বলে থাকেন। এর ইংরেজি নাম Bronze Featherback এবং বৈজ্ঞানিক নাম Notopterus notpterus। মাছটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ সেন্টিমিটার।  

শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সহিদুর রহমান সিদ্দিকী এ মাছটি প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, ‘ফলি’ মাছ স্বাদু পানির মাংসাশী মাছ। এটি নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর ও হাওরে পাওয়া যায়। স্বাভাবিক পানির পাশাপাশি এরা নোংরা জলেও বিচরণ করে থাকে।

বাজারে এর ব্যাপাক চাহিদা থাকলে কি হবে, প্রাকৃতিক এই মাছটিকে তো আর এখন তেমনভাবে পাওয়া যায় না। আমাদের বাজারের প্রায় নব্বইভাগ মাছই তো কৃত্রিম মাছের খামারের। বাংলাদেশে এ মাছটি অবস্থান ‘শংকটাপন্ন’।  

তবে, প্রাকৃতিতে ‘ফলি’ মাছকে দেখা না গেলেও সৌখিন মাছপ্রেমীদের অ্যাকুরিয়ামে অন্যান্য মাছের পাশাপাশি এই মাছটিকে সহজেই দেখা যায় বলে জানান সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সহিদুর রহমান সিদ্দিকী।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯০২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।