ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সাইনবোর্ডে বেড়িবাঁধ প্রকল্প বিবরণী টাঙানোর দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
সাইনবোর্ডে বেড়িবাঁধ প্রকল্প বিবরণী টাঙানোর দাবি

খুলনা: খুলনার কয়রা উপজেলার বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজের বিবরণী উল্লেখ করে প্রতিটি বাঁধের প্রকল্প এলাকায় জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে সাইনবোর্ড টাঙানোর দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয় কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিমুল কুমার সাহার মাধ্যমে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে কয়রা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ১৮-১৯ ও ১৯-২০ অর্থবছরের ডিপিএমভুক্ত ১৮টি ঝুঁকিপূর্ণ স্পটে ৪ হাজার ৩০৫ মিটার বেড়িবাঁধের জন্য সাড়ে ৪ কোটি টাকার মত কাজ চলমান রয়েছে।  

এছাড়া ১৮-১৯ অর্থবছরের রাজস্ব খাতেও সাড়ে ৩ কোটি টাকার বেশি মূল্যের ১৭টি কাজের কিছু কাজ সমাপ্ত হয়েছে। কিছু কাজ চলমান রয়েছে। তবে একটি কাজেও প্রকল্প এলাকায় কাজের বিররণী উল্লেখ করে কোনো সাইনবোর্ড প্রদর্শন করা হচ্ছে না। ফলে এলাকার সচেতন মানুষ ও সাধারণ জনগণ বাঁধ সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতে পারছে না। তাই এ জনপদের মানুষের দাবি, বেড়িবাঁধের কাজে স্বচ্ছতা আনতে ও সাধারণ মানুষকে অবগত করতে বাঁধ এলাকায় কাজের বিবরণী, প্রকল্পের মেয়াদ, বাঁধের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও কত টাকা মূল্যের কাজ উল্লেখ করে সাইনবোর্ড লাগানো একান্ত প্রয়োজন।

স্মারকলিপি দেওয়ার পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, কয়রায় নদী ভাঙন রোধে প্রায় প্রতিবছর বেড়িবাঁধ নির্মাণের নামে সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু প্রকল্প এলাকায় কাজের বিবরণী উল্লেখ করে জনসাধারণের অবগত করতে কোনো সাইনবোর্ড না থাকায় ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে বেড়িবাঁধের কাজের টাকা লুটপাট হচ্ছে। এতে কয়রার নদী ভাঙন রোধে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ভেস্তে যাচ্ছে। তাই অবিলম্বে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কয়রায় ব্লক স্থাপনসহ টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।

এসময় বক্তারা আরও বলেন, প্রতিবার ভাঙনের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাময়িক ত্রাণ বিতরণ করলেও বাঁধের স্থায়ী মেরামত করা হয় না। আর নদী শাসন না করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করলে কখনওই টিকবে না। আবার ভাঙবে, আবার মানুষ মরবে। স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও চলমান প্রকল্পসমূহে কাজের বিবরণী সাইনবোর্ড লাগানোর দাবি জানান তারা।

এছাড়া বর্তমানে কয়রা উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা আংটিহারা, খাসিটানা, জোড়শিং, মাটিয়াভাঙ্গা, গাতিরঘেরি, গাববুনিয়া, গাজিপাড়া, কাটকাটা, ৬ নম্বর কয়রা, ৪ নম্বর কয়রার পুরাতন লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকা, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, ঘাটাখালি, হরিণখোলা, মঠবাড়ি, দশালিয়া, লোকা, কালিবাড়ি, নয়ানি, শেখেরটেক এলাকাসহ ২৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মাণ না হলে আবারও বাঁধ ভেঙে গোটা উপজেলা লোনা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে উল্লেখ করে স্মারকলিপি দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণকারীরা অনতিবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রভাষক বিদেশ রঞ্জন মৃধা, সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন, সংগঠনের নেতা অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, ধিরাজ কুমার রায়, মো. কামাল হোসেন, নিরাপদ মুণ্ডা, ওবায়দুল কবির সম্রাট, রাসেল আহমেদ, অমল কৃষ্ণ পিন্টু, জি এম রাসেল রানা, মো. আলমগীর হোসেন, পবিত্র মণ্ডল, ভবসিন্ধু রায় প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
এমআরএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।