বাংলাদেশে সফররত জাপানের আজিক্কি গ্রুপের এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট আউমু তাকাসি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারে সঙ্গে বুধবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী একথা বলেন।
বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানান, জাপানের চাহিদা অনুযায়ী ১৪টি ক্যাটাগরির প্রতিটিতে যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি করা সম্ভব।
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত এক বন্ধু। জাপানের জনগণের অনুকরণীয় জীবনযাপন ও আচরণ বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য খুবই আকর্ষণীয়। জাপান অত্যন্ত উপযোগী কর্মক্ষেত্র। দেশে ৬৫টি ল্যাবে জাপানি ভাষাসহ ৯টি ভাষা প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণের সিলেবাস বা কারিকুলাম পেলে দক্ষ জনবল তৈরি করার দায়িত্ব আমাদের।
আউমু তাকাসি জানান, জাপানে বর্তমানে কেয়ার ওয়ার্কার, বিল্ডিং ক্লিনিং ম্যানেজমেন্ট, মেশিন পার্টস অ্যান্ড টুলিং ইন্ডাস্ট্রিজ, ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন ইন্ডাস্ট্রি, কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি, শিপ বিল্ডিং অ্যান্ড শিপ মেশিনারিজ ইন্ডাস্ট্রি, অটোমোবাইল রিপেয়ার ইন্ডাস্ট্রি, এভিয়েশনস ইন্ডাস্ট্রি, অ্যাকমোডেশন ইন্ডাস্ট্রি, এগ্রিকালচার, ফিশারিজ, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ও ফুড সার্ভিসেস ইন্ডাস্ট্রিতে ৩ লাখ ৪০ হাজার কর্মীর চাহিদা রয়েছে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৯টি জাপানি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৯টি দেশ থেকে এসব কর্মী নিয়োগ করা হবে। ৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে জাপান সরকার বাংলাদেশকে এই তালিকায় যুক্ত করার জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে টেকনোগ্রাম লিমিটেডের সিইও একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ