ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অতীতের অভিজ্ঞতায় নৌপথে সন্তুষ্টি: খালিদ মাহমুদ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
অতীতের অভিজ্ঞতায় নৌপথে সন্তুষ্টি: খালিদ মাহমুদ সচিবালয়ে ঈদের কুশল বিনিময় করছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

ঢাকা: এবারের ঈদযাত্রা নিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে সবাইকে নিয়ে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, তাতে সন্তুষ্ট। যাত্রীসেবার ক্ষেত্রে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হলেও অসন্তুষ্টি নেই।

ঈদ পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে বুধবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের একথা বলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ফেরিগুলো ফ্রিকোয়েন্টলি চলেছে, ফেরিতে কোনো জট  নেই, জট ছিল রাস্তায়।

২০টি ফেরির কোনোটি কোথাও থেমে থাকেনি। বিশ্রামের বিষয়টাও যাত্রী সেবায় উৎসর্গ করেছে। পাঁচটি ফেরি শুধু যাত্রী পারাপারের জন্য দিয়েছিলাম। লাখ লাখ মানুষ ফেরিতে গেছে। কোরবানির গরুও ফেরিতে পার করেছি এবার। ঈদের আগের দিন ফেরিতে পরিবহন সংকট ছিল। ফেরি বসেছিল কিন্তু বাস-ট্রাক ছিল না।

খালিদ মাহমুদ বলেন, সবচেয়ে বড় কথা সিরিয়ালটা সবাই মেনে চলেছে। এটার উপর আমরা খুব স্ট্রিক ছিলাম। যে কাউকে ওভারটেক করে ফেরিতে উঠে যাওয়া বা কোনো রকম সুবিধা নিয়ে উঠে যাওয়া- এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ খুব তৎপর ছিল। সিরিয়াল মেইনটেন করা হয়েছে। রাস্তার মধ্যে যে যানজট থাকে সেটা তো আমাদের বিষয় না।

আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, এডিস মশা, ডেঙ্গুজ্বর সব মিলে দেশে একটা অস্থিরতা আছে, এরমধ্যেই আমি মানুষের মধ্যে আনন্দের কোনো কমতি দেখিনি। সড়ক বা রেলপথে ২০ বা ৩০ ঘণ্টায় মানুষজন এলাকায় গেছে, আমি ঈদের আনন্দটা তাদের মধ্যে পেয়েছি। কোরবানির গরু ৯৯ শতাংশ দেশি ছিল। ব্যবসায়ী এবং যারা কোরবানি দিয়েছেন উভয়ই সন্তুষ্ট ছিলেন।

চামড়ার কম দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী চামড়া রফতানির বিষয়ে বলেছেন। চামড়া রফতানি হলে এ সংকট থাকবে না। বাংলাদেশে কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের কর্মকাণ্ডের জন্য সংকটে আছে। এই সংকট দেশের মানুষের উপরে চাপিয়ে দিতে চায়। এডিস মশা নিয়েও রাজনীতি, পরিবহন ব্যবস্থা নিয়েও রাজনীতি।

‘একটা শহর থেকে প্রায় দুই কোটি মানুষ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে, সেখানে কিছুটা দুর্বলতা থাকতে পারে। সেটা নিয়ে রাজনৈতিক করার কিছু নেই। বরং মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই রাজনীতি। এটা না করে সমালোচনা করলাম, এটা দায়িত্ব পালন করা হলো না। আমরা যদি হজের কথা চিন্তা করি প্রত্যেক বছর সারা বিশ্ব থেকে ৪০ লাখ মানুষ যাচ্ছেন। এতো সুব্যবস্থা থাকার পরও সংকট আছে। সেখানে বাংলাদেশে একটা শহর থেকে দুই কোটি মানুষ বেরিয়ে যাচ্ছে, এই মানুষগুলোকে ম্যানেজমেন্ট করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। তারপরও সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ’

খালিদ মাহমুদ বলেন, চামড়া শিল্পে যদি কোনো রকমের ব্যাঘাত ঘটে সেটা অবশ্যই বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। সব জায়গায় সিন্ডিকেট তৈরি করার প্রবণতা থাকলেতো হবে না। সরকার সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করছে। এতকিছুর মধ্যে দেশে কোনো ধরনের অস্থিরতা নেই। এটাকে অস্বাভাবিক করার একটা চেষ্টা চলছে। কারা চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলছে এটা দেখেন, আমাদের দেশেতো দেশ বিরোধী একটা বিরাট চক্র বিরাজমান।  

‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি যতক্ষণ বেঁচে আছি, আমার যতক্ষণ প্রাণ আছে, অস্থিরতার কোনো কারণ নাই। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।