ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এলেঙ্গা-রংপুর চারলেন না হওয়া পর্যন্ত দুর্ভোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
এলেঙ্গা-রংপুর চারলেন না হওয়া পর্যন্ত দুর্ভোগ সচিবালয়ে ব্রিফ করছেন ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত চারলেনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত উত্তরের পথে ভোগান্তির অবসান হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তবে আপাতত সহনীয় রাখতে নলকাসহ দু’টি ব্রিজের সংস্কার ও ‘সিরিয়াসলি’ বিকল্প চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
 
বুধবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে ঈদ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এবারের ঈদযাত্রা মোটামুটি স্বস্তিদায়ক হয়েছে।


 
‘তবে একটা রুট দু’দিন খুবই দুর্ভোগের কারণ হয়েছিল। সড়কে এবং টার্মিনালেও অপেক্ষমাণ যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হয়েছিল টাঙ্গাইল রুটে। এখানে সমস্যাটি হচ্ছে, যেটি আগে ঢাকা-চট্টগ্রামে ছিল। আমরা এবারের ভুল থেকে ভবিষ্যতে শিক্ষা নেবো। এ ভুলের পুনরাবৃত্তি রোধে চারলেন হওয়ার আগে সেটা করবো। এ ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে এবং আমরা সিরিয়াসলি বিষয়টা দেখছি। ’
 
মন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গে এমনিতেই গার্মেন্টসকর্মীসহ শেষ দিকে ভিড়টা এমন যে তখন চাপ মোকাবিলা করা খুব কঠিন। চারলেন থেকে যখন দুই লেনে চাপটা যায় তখন লম্বা টেইলব্যাক সৃষ্টি হয় এবং টেইলব্যাকটা আরও লম্বা হয় যখন ধৈর্যহারা হয়ে চালকরা গাড়ি উল্টোপথে নিয়ে যায়। যে কারণে দু’দিন যাত্রাটা স্বস্তিদায়ক ছিল না, ভোগান্তি হয়েছে। অনেক মানুষ কষ্ট করেছেন। গাড়ি দেরিতে আসার কারণে টার্মিনালেও বহু মানুষের কষ্টের সীমা ছিল না। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছি।
 
‘এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রামে নিয়মিত নির্ধারিত সময়েই গাড়ি পৌঁছেছে এবং সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টায় চট্টগাম যাত্রা- এটা ইতিহাসে প্রথম ছিল। ঢাকা-সিলেটও ভালো ছিল, ভুলতা ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহেও আমরা যতটা খারাপ হবে ভেবেছিলাম সেটা হয়নি। ঢাকা-ময়মনসিংহে স্বস্তিদায়ক ছিল। দক্ষিণাঞ্চলে ফেরির জন্য সংকট ছিল; পদ্মা-যমুনার তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। যে কারণে উভয়পাড়ে লম্বা টেইলব্যাকের সৃষ্টি হয়েছে এবং অনেক মানুষের কষ্ট হয়েছে। ’

 
মন্ত্রী বলেন, টাঙ্গাইল থেকে সিরাজগঞ্জের সমস্যাটা অনেক চেষ্টা করেও এড়াতে পারিনি। এখন এলেঙ্গা থেকে রংপুর চারলেনের কাজ শুরু হবে। সেখানে সাসেক প্রজেক্টে চারলেন হবে। ওই চারলেন শেষ পর্যন্ত পঞ্চগড় ও বুড়িমারী পর্যন্ত যাবে। এটার ফিজিবিলিটি এডিবি করেছে।
 
উত্তরের মানুষ এ সুবিধাটা কবে পাবে- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে পাবে। এখন ঢাকা-এলেঙ্গা চারলেন হয়ে গেলো। যখন এলেঙ্গা-রংপুর চারলেনের কাজটা শেষ হবে তখন উত্তরবঙ্গের মানুষ আরও স্বস্তি পাবে এবং ঢাকা-চট্টগ্রামের মতো স্বস্তিদায়ক হবে। কাজেই যতদিন না চারলেনের কাজটা শেষ না হচ্ছে এলেঙ্গা থেকে রংপুর, ততদিন পর্যন্ত এ দুর্ভোগ পোহাতে হবে এবং ভোগান্তির অবসান হবে না- এটাই স্বাভাবিক।
 
এত দীর্ঘ সময়- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা কি ঢাকা-চট্টগ্রামে অপেক্ষা করিনি। এখন ঢাকা-চট্টগ্রাম আর কখনও দুর্ভোগ হবে এটা চিন্তাও করছি না।
 
‘আমি আশা করি আমাদের ওদিকে আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। ’
 
কাদের বলেন, সবচেয়ে বেশি সমস্যাটি হয় নলকা ব্রিজে। এখানে বেশি টেইলব্যাকের সৃষ্টি হয়। ব্রিজটি যেহেতু অপ্রশস্ত। সেটাকে প্রশস্ত করা এবং আরও একটি ব্রিজ আছে যেটাকে বেইলি ব্রিজ করে আপাতত সমাধান খুঁজতে হবে। ইঞ্জিনিয়াররা এটা পরীক্ষা করে দেখছেন, কীভাবে সেখানে দুর্ভোগ এড়ানো যায় সে ব্যাপারে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাতে বোধহয় কিছু ফল পাবো, পেতে শুরু করবো।
 
কাদের বলেন, ঈদে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে প্রতিদিন ৩৬ হাজার ২০২টি গাড়ি চলাচল করেছে। তারপরেও জনদুর্ভোগটা মোটেও সহনীয় ছিল না, এটা আমি নিজেই স্বীকার করেছি। ৬-১৩ আগস্ট পর্যন্ত সড়কপথে দুর্ঘটনায় ৪৩টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গতবারের থেকে কম এবং প্রাণহানিও কম হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।