ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সওজ নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
সওজ নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ফিরোজ হোসেনসহ অন্যরা

খুলনা: খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাটা ফেরিঘাট দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে পছন্দের ব্যক্তিকে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা ফিরোজ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ফিরোজ হোসেন এ অভিযোগ করেন।



সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ২৬ মে নগরঘাটা ফেরিঘাটের ইজারার দরপত্র বিক্রির শেষ দিন ছিল। দরপত্র জমার (ড্রপিং) শেষ দিন ছিল ২৭ মে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। দরপত্র জমার নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর দুপুর ৩টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে অফিসের পিয়ন একটি দরপত্র নিয়ে আসে। পরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজশে নিয়ম বহির্ভূতভাবে একটি দরপত্র দাখিল করে। এ ব্যাপারে তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর পুনরায় দরপত্র আহ্বানের আবেদন করেন।

দরপত্র আহ্বানের আবেদন করলেও নির্বাহী প্রকৌশলী নানা টালবাহানার মাধ্যমে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। অবশেষে নিরূপায় হয়ে ফিরোজ হোসেন আদালতের শরণাপন্ন হন। গত ২৬ জুন খুলনার সহকারী জজ আদালতে মামলা করলে আদালত নগরঘাটা ফেরিঘাটটি ফিরোজ হোসেনের অনুকূলে ২০ আগস্ট পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। এছাড়াও আদালত নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাশকে ২১ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তারপরও নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাশ আদালতের আদেশ অমান্য করে দুর্নীতির মাধ্যমে তার পছন্দের ব্যক্তিকে নগরঘাট ইজারা দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। অবৈধভাবে ঘাট অন্যকে ইজারা দেওয়ার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাশ ঢাকায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।  

নির্বাহী প্রকৌশলী নগরঘাটের ইজারা তার পছন্দের ব্যক্তিকে পাইয়ে দিতে ওয়ার্ক অর্ডার করার জন্য গত ৮ জুলাই ঢাকায় সিএস পাঠান। এ অবস্থায় ১৫ জুলাই ফিরোজ হোসেন সহকারী জজ আদালতে একটি আরজি দাখিল করেন। আদালত আর্জি গ্রহণ করে বিবাদী নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাশকে আগামী ২০ আগস্ট স্বয়ং অথবা একজন উকিলের মাধ্য উপস্থিত হয়ে দরখাস্তের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর জন্য আদেশ দেন।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাশ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ফিরোজ হোসেন যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। নগরঘাটার ইজারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
এমআরএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।