ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নুসরাত হত্যা মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেবে পিবিআই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
নুসরাত হত্যা মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেবে পিবিআই বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

মামলার সাক্ষীদের ওপর কেউ যেনো প্রভাব বিস্তার করতে না পারে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে সাক্ষগ্রহণে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) এক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘নারী নিপীড়ন প্রতিরোধে মূল্যবোধের চর্চা’ বিষয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সিদ্ধেশ্বরী গার্লস  কলেজ ও ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ারর শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
   
বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলায় ৯২ জন সাক্ষী রয়েছেন। ইতোমধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য আদালত গ্রহণ করেছেন। বাকিদেরও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। তবে এ মামলায় এক থেকে সাত পর্যন্ত সাক্ষীরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বাকি ৮-৩২ পর্যন্ত সাক্ষীর ওপর মামলার ভবিষ্যত নির্ভর করবে।

এ মামলার তদন্তে কোনোও রাজনৈতিক বা মানসিক প্রভাব ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব মামলাতে মানসিক চাপ থাকে। এ মামলায়ও মানসিক চাপ ছিল। তবে সব ধরনের চাপ অতিক্রম করেই মামলার চার্জশিট দিয়েছি।

নুসরাতের যে ভিডিওটি সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম করেছিলেন, তিনি এমনটি করতে পারেন কি না জানতে চাইলে বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মামলার তদন্তের সার্থে ওসি ভিডিও করতে পারেন। তবে নুসরাতের ঘটনায় ওসি মোয়াজ্জেম যে ভিডিও করেছে, সেটি করা তার এখতিয়ার ছিল না। এটা তার বাড়াবাড়ি ছিল।  

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ওসি মোয়াজ্জেমকে হাত কড়া না পড়িয়ে বীরের মতো আদালতে নেওয়া হয়েছে পক্ষান্তরে সিনিয়র সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নেওয়া হয়েছিল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি আসামি পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তবে সেক্ষেত্র আসামিকে পুলিশ হাতকড়া পড়াতে পারেন। কিন্তু অসুস্থ কোনো মানুষকে পুলিশ হাতকড়া পড়াতে পারে না। ওই সিনিয়র সাংবাদিককে যে হাতকড়া পড়িয়েছিল সেটা তার ঠিক হয়নি। এতোদিনে হয়তো ওই পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তিও হতে পারে।
 
নারী নিপীড়ন প্রতিরোধে মূল্যবোধের চর্চা থাকা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারী-শিশু নির্যাতনসহ সব ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মূল্যবোধের চর্চা থাকা প্রয়োজন। কারণ নারী নির্যাতনের বিষয়গুলোতে দেখা যায়, শিক্ষিত, অশিক্ষিত আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের আপন সদস্যরাও জড়িত থাকে। এর জন্য মূল্যবোধের চর্চা করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
পিএম/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।