ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বগুড়ায় আস্থা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
বগুড়ায় আস্থা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা

বগুড়া: অনুমোদনহীন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। অভিযানের শুরুতেই শহরের আস্থা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি অনিয়মের কারণে ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে প্রতিষ্ঠান মালিককে।

বুধবার (২৬ জুন) দিনগত রাতে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ফারজানুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

এর আগে বিকেলে শহরের ভাই পাগলা মাজার লেনের ওই ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এসময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অনুমোদনের কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে না পারায় ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেয়া হয়।
 
মেডিকেল অফিসার ফারজানুল ইসলাম জানান, ক্লিনিকে কোনো চিকিৎসক এবং নিবন্ধিত কোনো সেবিকাও নেই। অথচ কয়েকটি তলায় বেশ কিছু রোগী ভর্তি রেখেছেন তারা। নোংরা প্যাথলজি কক্ষে টেকনোলজিস্ট হিসেবে যিনি রয়েছেন, তারও কোনো অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি নেই। তিনি দিব্যি রোগীদের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যাচ্ছেন দেড় বছর ধরে।
 
অস্ত্রোপচার কক্ষসহ পুরো ক্লিনিকেই স্বাস্থ্য-সহায়ক কোনো পরিবেশ নেই উল্লেখ করে এই চিকিৎসক জানান, বেসরকারি হাসপাতাল পরিচালনা করতে বিধি মোতাবেক ৩৬ ধরনের চিকিৎসা-সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির দরকার পড়ে। এর মধ্যে ৩-৪টি ছাড়া কিছুই নেই এখানে।
 
প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম কামরুল ইসলামের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনার পর ‘মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার, ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ’ এবং ‘ভোক্তা অধিকার আইনের বেশ কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পাশাপাশি ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেয়া হয়। এছাড়া ক্লিনিকে ভর্তি থাকা রোগীদের দ্রুত সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন তিনি।
 
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, অনুমোদনহীন বেসরকারি হাসপাতালগুলো বন্ধে জেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
 
স্থানীয়রা জানান, একসময় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করা তৌফিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি এই ক্লিনিকের মালিক। তার অবর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন তার শ্যালক নাজমুল হোসেন। প্রায় পাঁচ বছর ধরে ভাই পাগলা মাজার লেনের পাঁচতলা ভবনটি ভাড়া নিয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন তারা।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৩ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
এমবিএইচ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।