এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (২৬ জুন) এ দিন ঠিক করেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আবেদনকারী মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এইচআরপিবি’র করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে কোটি টাকার ওপরে ঋণ খেলাপির তালিকা দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে রুল জারি করেন। এ আদেশ অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৫ জুন ঋণ খেলাপিদের তালিকা দেন।
এর মধ্যে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনঃ তফসিলের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ওই রিটের ধারাবাহিকতায় নতুন সার্কুলার নিয়ে আবেদন করা হয়।
মনজিল মোরসেদ বলেন, এই রিটের শুনানির মধ্যে ২১ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ পরিশোধের জন্য ঋণ গ্রহীতাদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে সার্কুলার জারি করে। যা ৩০ জুন থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। কাউকে ঋণ খেলাপি ঘোষণার আগে ঋণ পরিশোধের জন্য বিভিন্ন ধাপে সময় দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে চূড়ান্তভাবে সময় দেওয়া হয়। এরপরও পরিশোধ না করলে তার নাম ঋণ খেলাপির তালিকায় ওঠে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ২১ এপ্রিল এ সার্কুলার দিয়ে ঋণ পরিশোধের সময় আগের আইনের চেয়ে দ্বিগুণ করে দেয়। অর্থাৎ আগে যাদের তিন মাসের মধ্যে ঋণের টাকা জমা দিতে হতো তারা ছয় মাস সময় পেয়েছেন। আর যাদের ছয় মাসের মধ্যে টাকা দেওয়ার কথা তাদেরটি বাড়িয়ে বারো মাস করা হয়েছে। বুধবার শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য রেখেছেন।
শুনানিতে ঋণ খেলাপিদের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, ঋণ খেলাপিরা মানি লন্ডারিং করে বিদেশে সেকেন্ড হোম বানাচ্ছে। বাংলাদেশটাকে লুট করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
ইএস/আরএ