রোববার (২৩ জুন) সকাল থেকে বিকেলে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে দুই জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতপরিচয় এক যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে জামালপুর জিআরপি থানা পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামালপুর-ময়মনসিংহ রেলপথের জামালপুর সদরের নরুন্দি-ভারুয়াখালী রাস্তার লেভেল ক্রসিংয়ে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে একটি চলন্ত মোটরসাইকেলের। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মোটরসাইকেলের আরোহী আব্দুর রহমান (৩৫)। তিনি নরুন্দি বাজারের ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় হাজিপাড়া গ্রামের মো. রবিউল্লাহ ছেলে।
অপরদিকে একই দিন বিকেল পৌনে ৩টার দিকে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ রেলপথের ঝিনাই রেলসেতু অতিক্রম করার সময় ঢাকাগামী কমিউটার ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ফুল মাহমুদ (২২) নামের এক যাত্রী নিহত হন। তিনি মেলান্দহ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে।
এছাড়াও একই দিন সকালে জামালপুর-ময়মনসিংহ রেলপথের পিয়ারপুর এলাকায় রেললাইনের পাশে পড়ে থাকা অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে জিআরপি পুলিশ। তিনিও ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন বলে পুলিশ ধারণা করছে। তবে তিনি কোনো ট্রেনের যাত্রী ছিলেন পুলিশ তা নিশ্চিত হতে পারেনি।
রেলওয়ের জামালপুর জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাপস চন্দ্র পন্ডিত সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে জানান, রেলপথে দুর্ঘটনায় নিহত অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। শনাক্ত হওয়ায় বাকি দু’টি মরদেহ তাদের পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জিআরপি থানায় পৃথক তিনটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
আরএ