শনিবার (২২ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য হাজি মো. সেলিমের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ তথ্য জানান তিনি। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংকগুলো সরকারি নির্দেশনার আলোকে তাদের নিজস্ব নীতিমালা অনুসরণ করে ঋণের সুদ মওকুফ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। মোট সুদ মওকুফের বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায়। এই বিবরণীতে ঋণ গ্রহিতাওয়ারী তথ্য থাকে না। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে আলাদাভাবে ঋণ গ্রহিতার নাম, ঠিকানা ও মওকুফ করা সুদের পরিমাণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ সময়সাপেক্ষ।
‘বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত তথ্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিশেষায়িত ব্যাংক ২০১৮ সালে অনুমোদিত মোট সুদ মওকুফের পরিমাণের তথ্য হলো, অগ্রণী ব্যাংকের মওকুফ করা হয়েছে ৪৯৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, বেসিক ব্যাংকের ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংকের ৫৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা, রূপালী ব্যাংকের ১৩৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা, সোনালী ব্যাংকের ৭৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, কৃষি ব্যাংকের ৪৩৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মওকুফ করা হয়েছে ৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ’
এই তথ্য থেকে দেখা যায়, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকের ৬১৬৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে মোট ১ হাজার ১শ ৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকার সুদ মওকুফ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৯
এসকে/এএ