বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন হামিদিয়া টি কোম্পানির জিএম সিরাজুল ইসলাম। এ সময় তিনি চা শিল্পের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য একটি আলাদা মন্ত্রণালয়েও দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কোনো সরকারি ‘টি টেস্টার’ না থাকায় সিন্ডিকেট ভালো চা’কে খারাপ আর খারাপ চা’কে ভালো বানিয়ে দেয়। তাদের ভালো-মন্দের বিচারে চায়ের দাম ওঠানামা করে। এতে করে অনেক বাগানের মালিকেরা লোকসানে পড়ছে। কেউ ব্যবসায় সুবিধা করতে পারছেন না। এতে তাদের দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সিরাজুল ইসলাম বলেন, চা মন্ত্রণালয় স্থাপন করে সিন্ডিকেটসহ সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারলে বাংলাদেশের চা আবার রপ্তানি হবে। এ থেকে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন হবে।
জানা যায়, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট ও বিভিন্ন কোম্পানির টি-টেস্টার রয়েছে। তারা চায়ের লিকার করে সেটাতে মুখ দিয়ে গুনাগুন পরীক্ষা করেন। সাধারণত একবার জিহ্বায় চা লাগলে সেই টেস্ট বহুসময় থেকে যায়। এই সময়ের মধ্যে অন্য চা মুখের সেন্সর কাজে লাগিয়ে পরীক্ষা করা সম্ভব না। কারণ মানবদেহের মুখের সেন্সর চায়ের এই বিশেষত্ব আলাদা করতে পারে না।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে কোনো সদুত্তর না দিয়ে বলেন, সব ডিজিটাল পদ্ধতিতে হচ্ছে। এরপর ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এনটি