ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চা’র মান নিয়ন্ত্রণে ১৬৫ বছরেও আসেনি বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
চা’র মান নিয়ন্ত্রণে ১৬৫ বছরেও আসেনি বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থা

মৌলভীবাজার: ভারত চায়ের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করছে। চীন অনেক আগে থেকে চা শিল্পে নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু বাংলাদেশে চা শিল্পের ১৬৫ বছরের ইতিহাসে চায়ের মান নির্ণয়ে কোনো বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের ব্যবহার করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন হামিদিয়া টি কোম্পানির জিএম সিরাজুল ইসলাম। এ সময় তিনি চা শিল্পের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য একটি আলাদা মন্ত্রণালয়েও দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কোনো সরকারি ‘টি টেস্টার’ না থাকায় সিন্ডিকেট ভালো চা’কে খারাপ আর খারাপ চা’কে ভালো বানিয়ে দেয়। তাদের ভালো-মন্দের বিচারে চায়ের দাম ওঠানামা করে। এতে করে অনেক বাগানের মালিকেরা লোকসানে পড়ছে। কেউ ব্যবসায় সুবিধা করতে পারছেন না। এতে তাদের দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সিরাজুল ইসলাম বলেন, চা মন্ত্রণালয় স্থাপন করে সিন্ডিকেটসহ সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারলে বাংলাদেশের চা আবার রপ্তানি হবে। এ থেকে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন হবে।

জানা যায়, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট ও বিভিন্ন কোম্পানির টি-টেস্টার রয়েছে। তারা চায়ের লিকার করে সেটাতে মুখ দিয়ে গুনাগুন পরীক্ষা করেন। সাধারণত একবার জিহ্বায় চা লাগলে সেই টেস্ট বহুসময় থেকে যায়। এই সময়ের মধ্যে অন্য চা মুখের সেন্সর কাজে লাগিয়ে পরীক্ষা করা সম্ভব না। কারণ মানবদেহের মুখের সেন্সর চায়ের এই বিশেষত্ব আলাদা করতে পারে না।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে কোনো সদুত্তর না দিয়ে বলেন, সব ডিজিটাল পদ্ধতিতে হচ্ছে। এরপর ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad