বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। ট্রাক দুটিতে ২২ টন করে মোট ৪৪ টন চাল ছিল।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন বানু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, তানোরের মাদারিপুর এলাকার ‘সরকার চালকল’ ও ‘করিম চালকল’ নামে দুটি চালকলের নামে চালগুলো গুদামে ঢোকানো হচ্ছিল। কিন্তু এ দুটি চালকল এখন বন্ধ।
গুদাম কর্মকর্তা অনিয়ম করে এ দুটি চালকলের কাগজপত্রের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরের ‘নজরুল অটো রাইস মিল’ ও নওগাঁর ‘রাকিব চালকল’ থেকে চাল এনেছিলেন।
এই চালগুলোও এ বছরের না। পুরনো এসব চাল খুবই নিম্নমানের। কেনা হয়েছিল কম দামেই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্ধ দুটি চালকলের কাগজপত্র দিয়ে খাদ্য কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম নিজেই তানোরের বাইরে থেকে চাল এনে গুদামে সরবরাহ করছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি আর্থিক সুবিধা পেতেন। অথচ এবার তানোরের সচল বেশকিছু চালকলের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি করা হয়নি।
পুরনো চাল তানোরের বাইরে থেকে আনার বিষয়টি বুঝতে পেরে গ্রামবাসী তা গুদামে ঢোকাতে দেননি। পরে ইউএনও নাসরিন বানু চালগুলো যেখান থেকে আনা হচ্ছিল সেখানেই ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। ফলে বিকেলে চালভর্তি দুটি ট্রাক গুদাম থেকে বেরিয়ে যায়।
ঘটনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন বানু বলেন, তিনি ঢাকায় আছেন। তবে ঘটনা শুনেই তিনি চালগুলো ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, চালগুলো দুটি বন্ধ চালকলের নামে ঢোকানো হচ্ছিল বলে তিনি শুনেছেন। তাই ওই দুই চালকলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার জন্য তিনি তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আরও তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে হবে বলেও জানান ইউএনও।
এদিকে খাদ্য কর্মকর্তা মইনুল ইসলামের দাবি, চালগুলো তানোরের ভেতরের চালকল থেকেই আনা হয়েছিল এবং সেই কল দুটি সচল। তবে এবার অচল কিছু চালকলের সঙ্গে চুক্তি করা হয়নি। এই কারণে তারা এই ঝামেলাটা বাঁধিয়েছে।
তানোরের চালকলের নামে নিজেই চাল সরবরাহ করছিলেন এমন অভিযোগও অস্বীকার করেন খাদ্য বিভাগের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, তানোরের মাদারিপুর গ্রামের দুটি চালকল থেকে চাল আনা হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য চালগুলো ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৬ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এসএস/জেডএস