বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ইটনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহাগ মিয়া।
বিচারক নূরুল আবছার মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে আগামী ২৫ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৯ মে দুপুরে ইটনা থানার এসআই রোকন সাদা পোশাকে ইটনা বাজারে মাছ কিনতে যান। তিনি মাছ বিক্রেতা তুলুর কাছ থেকে জোর করে ব্যাগে মাছ ভরে কম মূল্য দিতে চাইলে তুলু বাধা দেন। এ নিয়ে তুলুর সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এসআই রোকন ওই মাছ বিক্রেতাকে মারপিট করেন। এসময় তার চিৎকারে ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগসহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে প্রতিবাদ জানান। এতে এসআই রোকন ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানকেও মারপিট করতে থাকেন।
এমন দৃশ্য দেখে ও খবর পেয়ে শত শত মানুষ আসতে থাকলে এসআই রোকন চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেন। পরে বিকেলে আরও পুলিশ নিয়ে এসআই রোকন ইটনা মধ্যগ্রাম-নয়াহাটির চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে তার বৃদ্ধা মা সাফিয়া আক্তার ও স্ত্রী জুয়েনা আক্তারকে গালিগালাজ করেন। এমনকি ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যান।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন এসআই রোকনের বিচার দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
জিপি