রোববার (১৬ জুন) রাতে শহরতলির ঘাটুরা এলাকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মঈনউদ্দিন সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের তেলিনগর গ্রামের মৃত কুফুল উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের বড় ভাই জামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, গত সোমবার (১০ জুন) তার ভাইকে পিত্ত পাথরের ব্যথা নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যান। পুনরায় শনিবার আবার অপারেশনের জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার সন্ধ্যায় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে অপারেশন শেষ হলে সাড়ে ১০টার দিকে আমাদের খবর দেয়া হয় রোগী মারা গেছে।
তিনি আরো বলেন, অপারেশনের পর আমার ভাইকে তিনটি ঘুমের ইনজেকশন দেয়া হয়। পরে ব্যথা শুরু হলে কিছুক্ষণ পর মারা যায়। আমার ভাইকে তারা ভুল চিকিৎসা দিয়ে মেরে ফেলেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. আবু সাঈদ বাংলানিউজকে বলেন, অপারেশন করার পর রোগীকে তার বেডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তিনি হঠাৎ করে ব্রেন স্টোক করে মারা যান। আমরা তাকে বাঁচানোর জন্য সব ধরনের চেষ্টা করেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। কোনো লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৯
আরএ