ঘটনার পর থেকে ওই ছেলে পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী বাদী হয়ে তানোর থানায় ছেলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।
বর্তমানে নিহত রহিমা বেগমের (৭০) মেজো ছেলে অভিযুক্ত একরামুল হককে (২৮) খুঁজছে পুলিশ।
রাজশাহীর তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সকালে রহিমা বেগম তার বড় ও মেজো ছেলেকে টাকা না দিয়ে ছোট ছেলে আমিরুল ইসলামকে ঈদের পোশাকের জন্য দুই হাজার টাকা দেন।
ছোট ছেলেকে টাকা দেওয়ার কথা শুনে বড় ছেলে আব্দুল হক ও মেজো ছেলে একরামুল মায়ের কাছে তিন হাজার টাকা করে টাকা দাবি করেন। এ সময় মা দুই ছেলেকে এক হাজার করে টাকা দিতে রাজি হন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মেজো ছেলে একরামুল বাড়িতে থাকা একটি লাঠি দিয়ে তার মায়ের ঘাড়ের ওপরে আঘাত করে।
লাঠির আঘাতে ঢলে পড়েন মা রহিমা বেগম। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।
জানতে চাইলে রাজশাহীর তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় নিহতের স্বামী সামজাদ আলী বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় মেজো ছেলে একরামুল হককে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তাকে খুঁজছে পুলিশ। দ্রুতই তাকে গ্রেফতার করা যাবে বলেও জানান তানোর থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
এসএস/এমএইচএম