সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে বিএমপি ট্রাফিক পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে নগরের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা চকবাজারে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, নগরের সদররোড, গির্জা মহল্লা, ফলপট্টি, চকবাজার, কাটপট্টি, পদ্মাবতী, ফজলুল হক অ্যাভিনিউ হচ্ছে বাণিজ্যিক এলাকা। এখানে শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলেও নেই কোনো গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। ফলে সড়কের পাশে যানবাহন পার্কিং করতে হয় ক্রেতাদের। ঈদ অথবা যে কোনো উৎসবে এ এলাকায় প্রচুর মানুষের আনোগোনা হয়। তার সঙ্গে যানবাহনেরও চাপ বাড়ে। এতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
যানজট নিরসনে এবার বিসিসির উদ্যোগে নগরের গির্জা মহল্লা এলাকার একে স্কুল মাঠ, সদর রোডের সিটি কলেজ মাঠসহ বেশ কিছু স্থানে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও মানুষ সড়কের পাশে গাড়ি রেখে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে আসছে। এসব আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ায় বরিশাল নগরে তেমন যানজট দেখা যায়নি। এতে দূর-দুরান্ত থেকে ঈদের মার্কেট করতে আসা ব্যক্তিরা নগরের সড়কগুলোতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরেছেন।
ট্রাফিক পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) খাইরুল আলম বাংলানিউজকে জানান, এবারের ঈদকে কেন্দ্র করে নগরকে যানজট মুক্ত রাখতে তৎপরতা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে গাড়িগুলোকে ট্রাফিক পুলিশ একটি নির্ধারিত স্থানে পার্কিং করাতে চাইছেন। নগরের একে স্কুলে গাড়ি পার্কিংয়ে জন্য একটি নির্ধারিত স্থান করে দিয়েছে বিসিসি কর্তৃপক্ষ। তবে সেখানে অনেকে গাড়ি পার্কিং না করে সড়কের পাশেই রাখছে। সড়কে যানবাহন না রাখা জন্য ইতোমধ্যে তৎপরতা শুরু হয়েছে।
এদিকে সাধারণ মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদের কেনাকাটা করতে পারেন সেজন্য নগরে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নগর পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/