ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নেই চিরচেনা রূপ, তবুও কমলাপুরে রাত জেগে টিকিটের অপেক্ষা

তামিম মজিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
নেই চিরচেনা রূপ, তবুও কমলাপুরে রাত জেগে টিকিটের অপেক্ষা

ঢাকা: পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগাম টিকিট বিক্রিকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে থাকে উপচেপড়া ভিড়। কিন্তু এবার বদলে গেছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সেই চিরচেনা রূপ। 

চলতি বছর প্রথমবারের মতো পাঁচটি ভিন্নস্থানে টিকিট বিক্রি করায় লোকসমাগম কম হওয়ার মূল কারণ। এতে স্বাচ্ছন্দ্যে টিকিট কিনতে পারবেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের রেলওয়ের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে বুধবার (২২ মে) সকাল ৯টায়। অন্যবারের তুলনায় কমলাপুরে টিকিট কেনার ঝামেলা কম থাকলেও অনেকে মঙ্গলবার (২১ মে) রাত ১০টা থেকে কমলাপুরে অবস্থান নেন। উদ্দেশ্য একটাই বাড়ি ফেরার টিকিট নিশ্চিত করা।  

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেওয়া হবে পশ্চিম অঞ্চল ও উত্তরবঙ্গগামী সব ট্রেনের টিকিট। রাতভর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে জেগে থাকা মানুষ অপেক্ষায় রয়েছেন, কখন শুরু হবে টিকিট বিক্রি। সেই কাঙ্ক্ষিত সময়ের আর মাত্র আধা ঘণ্টা বাকি। তারপরও ক্লান্তি বা অবসাদ নেই সেই অপেক্ষায় থাকা মানুষগুলোর।

আরও পড়ুন...বিক্রি শুরু সকালে, রাতেই কমলাপুরে টিকিট প্রত্যাশীরা

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কিনতে আসা গার্মেন্টস কর্মী আব্দুল হাকিম বাংলানিউজকে বলেন, টিকিট যদি পাই তাহলেই রাত জাগার কষ্ট সফল হবে।

হাকিমের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নায়েকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমিও রাত থেকেই এখানে অবস্থান নিয়েছি। ঠাকুরগাঁওয়ের টিকিট কিনবো, টিকিট পেলেই কষ্ট সার্থক হবে।

এদিকে, কমলাপুরে সব ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে তৎপর রয়েছে পুলিশ, আনসার ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা।  

রেলওয়ের তথ্য মতে, বুধবার (২২ মে) বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি চলবে। আজ দেওয়া হবে ৩১ মে'র টিকিট। একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন।  

কমলাপুর ছাড়াও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন, তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন, বনানী স্টেশন থেকে নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলভবন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে একই সময়ে।  

রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ মে দেওয়া হবে ১ জুনের টিকিট, ২৪ মে দেওয়া হবে ২ জুনের টিকিট, ২৫ মে দেওয়া হবে ৩ জুনের টিকিট এবং ২৬ মে দেওয়া হবে ৪ জুনের টিকিট।

ফেরত যাত্রীদের জন্য ২৯ মে দেওয়া হবে ৭ জুনের টিকিট, একইভাবে ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন দেওয়া হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট।  

রেলসূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ৭০ থেকে ৭২ হাজার টিকিট বিক্রি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই হিসেবে ঈদের পাঁচ দিনে তিন লাখ ৫০ হাজার টিকিট বিক্রি করা হবে। ৯৬টি আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি আট জোড়া বিশেষ ট্রেনও নামানো হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৬ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
টিএম/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।