ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিক্রি শুরু সকালে, রাতেই কমলাপুরে টিকিট প্রত্যাশীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৪ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
বিক্রি শুরু সকালে, রাতেই কমলাপুরে টিকিট প্রত্যাশীরা কমলাপুর রেল স্টেশনে অগ্রিম টিকিট প্রত্যাশীরা। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে কমলাপুরসহ রাজধানীর পাঁচটি স্টেশনে বুধবার (২২ মে) সকাল ৯টা থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
 

বুধবার সকালে এসব স্টেশন থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও মঙ্গলবার (২১ মে) দিনগত রাত ১০টার পরেই অনেকে ভিড় করেছেন স্টেশনগুলোতে।
 
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কমলাপুর রেল স্টেশনের কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ লাইন।

কাউন্টারের সামনে অনেকে কাগজ বিছিয়ে রাত কাটানোর ব্যবস্থা করেছেন।
 
জানা গেছে, এ বছর কমলাপুর ছাড়াও বিমানবন্দর, বনানী, তেজগাঁও ও ফুলবাড়িয়া পুরাতন রেল ভবনে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। এজন্য প্রতিবছরের চেয়ে এ বছর কমলাপুর স্টেশনে আগাম টিকিট প্রত্যাশীদের সংখ্যা কম।
 
ইতোমধ্যেই টিকিট বিক্রির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। টিকিট বিক্রিতে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম ঠেকাতে মাঠে থাকবে মনিটরিং টিম ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। পাশাপাশি থাকবে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
 
দুর্ভোগ কমাতে এ বছরই প্রথমবারের মতো রাজধানীর পাঁচ স্থানে বিক্রি করা হবে ঈদের টিকিট। ওই পাঁচ জায়গায় পর্যাপ্ত বুথ ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ফলে ঘরমুখো মানুষ কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যে হলেও টিকিট কিনতে পারবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
 
এই পাঁচটি স্টেশনের মধ্যে কমলাপুর স্টেশন থেকে যমুনা সেতু হয়ে পশ্চিমাঞ্চলগামী সবক’টি ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে। বিমানবন্দর স্টেশন থেকে দেওয়া হবে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট। তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট। বনানী স্টেশন থেকে নেত্রকোণাগামী, মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট এবং ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলভবন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দেওয়া হবে।
 
প্রথম দিন ২২ মে দেওয়া হবে ৩১ মের টিকিট। ২৩ মে দেওয়া হবে ১ জুনের টিকিট। ২৪ মে দেওয়া হবে ২ জুনের টিকিট। ২৫ মে দেওয়া হবে ৩ জুনের টিকিট এবং ২৬ মে দেওয়া হবে ৪ জুনের টিকিট। একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে।
 
অন্যদিকে ফেরত যাত্রীদের জন্য ২৯ মে দেওয়া হবে ৭ জুনের টিকিট। একইভাবে ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন দেওয়া হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট।
 
রেল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন ৭০ থেকে ৭২ হাজার টিকিট বিক্রি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই হিসেবে ঈদের পাঁচ দিনে তিন লাখ ৫০ হাজার যাত্রীকে সেবা দেবে রেলওয়ে। ৯৬টি আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি আট জোড়া বিশেষ ট্রেনও চলবে ঈদ উপলক্ষে।
 
ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (এক জোড়া), চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (দুই জোড়া), খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে মৈত্রীর রেক দিয়ে খুলনা ঈদ স্পেশাল, ঢাকা-ঈশ্বরদী-ঢাকা রুটে ঈশ্বরদী ঈদ স্পেশাল, লালমনিরহাট-ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি ঈদ স্পেশাল, ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া স্পেশাল-১ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া স্পেশাল-২ চলবে। এরমধ্যে শোলাকিয়া স্পেশালগুলো ঈদের দিন সেবা দেবে।
 
রেল সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নাগরিকদের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে রেলওয়ে। এ বছর নগরীর পাঁচটি স্থানে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি হবে না।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।